তৃণমূল ও শুভেন্দু অধিকারী ফাটল ঘিরে যে দীর্ঘ জল্পনা ছিল শুক্রবার তার ইতি টেনে রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেন তৃণমূলের এই নেতা। একুশের নির্বাচনের আগে বঙ্গ রাজনীতিতে যা শোরগোল ফেলে দিয়েছে। মন্ত্রীত্ব ছাড়ার পর রবিবারই একটি সভায় অংশগ্রহণ করেন শুভেন্দু যদিও তা 'অরাজনৈতিক' সভা হিসেবেই বলা হয়েছে।
রবিবারে মহিষাদলে প্রয়াত স্বাধীনতা সংগ্রামী রণজিৎ বয়ালের স্মরণসভায় ভাষণের শুরুতেই নিজেকে তাম্রলিপ্ত জনকল্যাণ সমিতির সভাপতি হিসেবেই পরিচয় দেন শুভেন্দু। যদিও সভাস্থলের পাশে 'দাদার অনুগামী'দের ব্যানার ছিল। মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর এটিই শুভেন্দুর প্রথম জনসভা। তবে তুখোড় রাজনীতিবিদ শুভেন্দু রাজনীতি নিয়ে ধোঁয়াশাই রাখলেন এদিন।
যদিও জনসভায় তিনি বলেন, "আপনারা যেভাবে আমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে এসেছেন তাতে আমরা সত্যিই অভিভূত। আগামী দিনের সংগ্রাম চলবে। আগামী দিনে এই প্রতিষ্ঠানগুলিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আপনাদের উপস্থিতি আমার অনুপ্রেরণা। সংবিধানে বলাই আছে প্রতিষ্ঠান চলবে ফর দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল, অফ দ্য পিপল। শেষ কথা জনগণই বলবে। আমি বাংলা, বাঙালির হয়ে কাজ করে যাব।" যদিও শুভেন্দুর এই সভা প্রসঙ্গে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা এর আগে জানিয়েছিলেন যে ‘অরাজনৈতিক’ সভায় সম্ভবত নিজের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করবেন না। কোন মঞ্চে কী কথা বলতে হয়, তা তিনি ভালোভাবেই জানেন।
অনুগামী লেখা টি-শার্টে অনুরাগীরা
অন্যদিকে, এদিন ডায়মন্ড হারবারের সাতগাছিয়ার সভা থেকে শুভেন্দুকে নাম না করে নিশানা করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সাংসদ তথা শাসক দলের যুব সংগঠনের সভাপতি বলেন, ‘তৃণমূলে কেউ লিফটে ওঠেনি-প্যারাশুটে নামেনি। যদি হত তাহলে দল এত বড় হত না। তৃণমূল মানে মাটির দল। এখানে লিফটে বা প্যারাশুটে ওঠা-নামা যায় না। আর যদি তাই হয় তবে তার পতন অবশ্যম্ভাবী।’মুখে নাম না নিলেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যেয়র ইঙ্গিত যে তৃণমূলের নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন