Advertisment

শুভেন্দুর পদত্যাগপত্র গৃহীত নয়, 'বেনিয়মে'র অভিযোগ স্পিকারের

আগামী সোমবার শুভেন্দুবাবুকে নিজের চেম্বারে ডেকে পাঠিয়েছেন স্পিকার।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

গৃহিত নয় বিধায়ক পদে শুভেন্দু অধিকারীর ইস্তফাপত্র। খতিয়ে দেখে জানিয়ে দিলেন বিধানসভার স্পিকার বিনাম বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী সোমবার শুভেন্দুবাবুকে নিজের চেম্বারে ডেকে পাঠিয়েছেন স্পিকার। তাঁর সঙ্গে কথা বলেই ইস্তফা সংক্রান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওায়া হবে বলে জানিয়েছেন স্পিকার।

Advertisment

অর্থাৎ এখনও পর্যন্ত তৃণমূলের হয়ে নির্বাচিত বিধায়কই রইলেন শুভেন্দু অধিকারী।

এ দিন বিধানসবায় সাংবাদিক বৈঠকে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'বিধানসভার সচিবের কাছে যে ইস্তফাপত্র দেওয়া হয়েছে চার তারিখের সঙ্গে ই-মেইলে পাঠানো ইস্তফাপত্রের তারিখের পার্থক্য রয়েছে। নিয়ম অনুসারে কোনও বিধায়ককে পদত্যাগ করতে হলে তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে স্পিকারের সামনে উপস্থিত হতে হয়। তারপর ইস্তফাপত্র জমা করতে হয়। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর ক্ষেত্রে তেমন কোনও কিছুই হয়নি।' তাই শুভেন্দুর বিধায়ক পদে ইস্তফাপত্র স্পিকার গ্রহণ করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বিমানবাবু।

আরও পড়ুন- ফের ধাক্কা তৃণমূলের, দল ছাড়লেন আরও এক বিধায়ক

আগামী ২১ ডিসেম্বর নন্দীগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীকে বিধানসভায় নিজের চেম্বারে তলব করেছেনম স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ইস্তফা স্বেচ্ছায় কিনা, এবং ইস্তফাপত্রটি আসল কিনা তা খতিয়ে দেখেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন স্পিকার। এক্ষেত্রে সব দিক বিবেচনা করে ইস্তফা সংক্রান্ত বিষয়ে স্পিকার সন্তুষ্ট হলেই বিধায়ক পদ থেকে শুভেন্দুবাবুর পদত্যাগ গৃহীত হবে।

আরও পড়ুন- জোড়া-ফুল ত্যাগের হিড়িক, আজই রাজ্যে অমিত শাহ- তড়িঘড়ি বিকেলে জরুরি বৈঠকে মমতা

২৭ নভেম্ভর মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর গত বুধবারই বিধানসভায় গিয়ে বিধায়ক পদে ইস্তফা দেন শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভার রিসিভ সেকশনে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা করেন। পরে পদত্যাগপত্র ই-মেইল করে স্পিকারকেও পাঠান। সেই সময়ই বিধায়কের ইস্তফার নিয়ম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন স্পিকার। তৈরি হয় বিতর্ক। আজ সেই বিতর্ক স্পষ্ট করলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন শুভেন্দুবাবুর পদত্যাগপত্রটি 'বেনিয়ম' তারও ব্যাখ্যা দেন তিনি।

নীতি মেনে বিধায়ক পদ ও তৃণমূল থেকে ইস্তফা দিয়েই তাঁর পরবর্তী রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘোষণা করতে চেয়েছিলেন কাঁথির অধিকারী পরিবারের মেজ ছেলে। কিন্তু নিয়মের বিধায়ক পদে বৃত্তে তাঁর ইস্তফাপত্র গৃহীত হল না। তাই জল্পনা সত্যি করে শনিবার শাহর সভায় গেরুয়া শিবিরে নাম লেখালেও খাতায়-কলমে শুভেন্দু তখনও তৃণমূলেরই বিধায়ক রয়ে যাবেন।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Suvendu Adhikari
Advertisment