রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করল বাঁকুড়া জেলা পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ রয়েছে। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর পুরসভার টেন্ডার নিয়ে অসঙ্গতি মেলায় শনিবার রাতেই বিষ্ণুপুর পুরসভার প্রাক্তন পুর প্রশাসকে গ্রেফতার করা হয়।
কী অভিযোগ?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিগত তিন দশক ধরে বিষ্ণুপুর পুরসভার চেয়ারম্যান, পরে পুর প্রশাসকের দায়িত্বে ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। তাঁর আমলেই বিষ্ণুপুর পুরসভায় ১০ কোটি টাকার টেন্ডার সংক্রান্ত আর্থিক তছরুপের অভিযোগ রয়েছে। ওই পুরসভায় কাজের টেন্ডার নিয়ে নানা অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে। প্রশাসনের কাছে প্রতারিতরা অভিযোগ জানান।
এরপরই বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসকের নেতৃত্বে বিষ্ণুপুর পুরসভার আর্থিক তছরুপ নিয়ে তদন্ত শুরু হয়। সেই রিপোর্ট সম্প্রতি পুলিশের কাছে জমা করা হয়েছে। দায়ের হয় এফআইআর। সেই সূত্রেই পুরসভার সঙ্গে যুক্ত একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। শনিবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বিষ্ণুপুর পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তন পুর প্রশাসক শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে। প্রায় গভীর রাত পর্যন্ত চলে জিজ্ঞাসাবাদ। এরপরই রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীকে গ্রেফতার করে বাঁকুড়ে জেলা পুলিশ। বক্তব্যে অসঙ্গতি ও তদন্তে অসহযোগিতার কারণেই গ্রেফতার করা হয়েছে প্রাক্তন পুর প্রধানকে।
আরও পড়ুন- ‘বঙ্গজননী’র হাত ধরেই ফের তৃণমূলে সোমেন-জায়া শিখা মিত্র
তৃণমূলের সঙ্গে বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই সম্পর্ক ভালো ছিলো না শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের। একুশের বিধানসভা ভোটের আগে, গত ডিসেম্বরে শুভেন্দু অধিকারী সঙ্গে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন রাজ্যের এই প্রাক্তন মন্ত্রী। যদিও তাঁকে প্রার্থী করেনি গেরুয়া শিবির। সেই থেকেই পদ্মে মোহভঙ্গ শুরু তাঁর। টাকার বদলে বিষ্ণুপুর বিধানসভায় বিজেপি আরেক দলবদলুকে প্রার্থী করেছে বলে তোপ দাগেন তিনি। এমনকী তৃণমূলে ফেরারাও চেষ্টা করেন শ্যামাপ্রসাদ। তবে তাঁকে তৃণমূলে ফেরাতে শাসক দলের তরফে তেমন সাড়া মেলেনি।
শেষ পর্যন্ত আর্থিক তছরুপের দায়ে শনিবার গ্রেফতার করা হয় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীকে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন