গুলি করে মারার দাওয়াই দিয়ে বিতর্কে আরও এক বঙ্গ বিজেপি নেতা। দিলীপ ঘোষের পর এবার বীরভূম বিজেপি জেলা সভাপতির গলাতেও শোনা গেল শ্যুটআউটের হুঁশিয়ারি। ‘বিজেপি কর্মীদের গায়ে হাত দিলে প্রথমে ঘুমপাড়ানি গুলি, না হলে চিরতরে ঘুম পাড়িয়ে দিন’, এ ভাষাতেই হুমকি দিয়ে বিতর্কে বীরভূম বিজেপি জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল। এই মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে পরে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে বীরভূম বিজেপি সভাপতি বলেন, ‘‘তারা (তৃণমূল কর্মী) যদি চা খাওয়ায়, আমার বিজেপি কর্মীরা কফি খাওয়াক, আপত্তি নেই। ওরা রসগোল্লা খাওয়ালে, আমার কর্মীরা রাজভোগ খাওয়াক, এই ব্যবহার করেই চলব। কিন্তু যদি মনে করে মারব-ধরব, তাহলে আমরা উপযুক্ত জবাব দেব’’।
ঠিক কী বলেছেন শ্যামাপদ মণ্ডল?
শনিবার সাঁইথিয়ার সভায় বীরভূম বিজেপি সভাপতি বলেন, ‘‘বুনো হাতি যখন খেঁপে গিয়ে তাণ্ডব করে, মানুষকে খুন করে, তখন আমরা বনকর্মীদের খবর দিই। বনকর্মীরা এসে প্রথমে ঘুমপাড়ানি গুলি করেন, হাতি ঘুমিয়ে যায়। না হলে গুলি করে মারে। তেমনই এখানে তৃণমূলের কয়েকজন নেতা রয়েছে। তারা যদি এখানে গুন্ডামি করে, ঘরবাড়ি ভাঙে, আমাদের কর্মীদের গায়ে হাত দেয়, তাহলে আমাদের কর্মীদের বলছি, প্রথমে ঘুমপাড়ানি ওষুধ দেবেন, তা না হলে চিরতরে ঘুম পাড়িয়ে দিন’’। শ্যামাপদর এই মন্তব্য সামনে আসতেই বিতর্ক শুরু হয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। উল্লেখ্য, এর আগে সিএএ বিরোধী বিক্ষোভকারীদের গুলি করা মারার নিদান দিয়ে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে দিলীপ ঘোষকে। অন্যদিকে, সিএএ বিরোধী বুদ্ধিজীবীদের ‘কুকুর-বাঁদর’ বলে মন্তব্য করে সমালোচিত হয়েছেন সায়ন্তন বসু, সৌমিত্র খাঁ-রা। এই আবহে শ্যামাপদর এই মন্তব্য নয়া মাত্রা যোগ করল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।
আরও পড়ুন: মুকুল-পুত্রের প্রচারে ‘হেনস্থা’, সিএএ প্রচার ঘিরে রণক্ষেত্র হালিশহর
নিজের মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে শ্যামাপদ মণ্ডল বলেন, ‘‘তারা (তৃণমূল কর্মী) যদি চা খাওয়ায়, আমার বিজেপি কর্মীরা কফি খাওয়াক, আপত্তি নেই। ওরা রসগোল্লা খাওয়ালে, আমার কর্মীরা রাজভোগ খাওয়াক, এই ব্যবহার করেই চলব। কিন্তু যদি মনে করে মারব-ধরব, তাহলে আমরা উপযুক্ত জবাব দেব। দুই চড় মারলে, চার চড় মারব। ওরা গুলি করলে আমরাও গুলি করব’’।