রাহুল-প্রিয়াঙ্কা শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সকালেই বেঙ্গালুরুতে পৌঁছেছেন। তাঁদের অভ্যর্থনা জানিয়েছেন কর্ণাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার। দুপুর সাড়ে বারোটা, দ্বিতীয়বারের জন্য কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া। একই সময়ে, ডি কে শিবকুমার উপ মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন। এছাড়াও অনেক বিধায়কও ক্যাবিনেট মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন। দুপুর সাড়ে ১২টায় বেঙ্গালুরুর কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ১৩ মে প্রকাশিত হয়েছিল।
আজ কর্ণাটকে সরকার গড়তে চলেছে কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন সিদ্দারামাইয়া এবং ডি কে শিবকুমার উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন। এছাড়াও একাধিক বিধায়ক ক্যাবিনেট মন্ত্রীপদে আজকের অনুষ্ঠানে শপথ নেবেন। দুপুর সাড়ে ১২টায় বেঙ্গালুরুর কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হবে।
কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ১৩ মে প্রকাশিত হয়েছিল। কংগ্রেস ১৩৫টি আসন, বিজেপি ৬৬টি এবং জেডিএস ১৯টি আসন পেয়েছে। কংগ্রেসে মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবি নিয়ে সিদ্দারামাইয়া এবং ডি কে শিবকুমারের মধ্যে অচলাবস্থা বেশ কয়েক দিন ধরে অব্যাহত ছিল। তবে কয়েকদিন ধরে বৈঠক ও হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে ফের সিদ্দিরামাইয়া।
কংগ্রেস বিধায়ক প্রিয়াঙ্ক খাড়গে, ডাঃ জি পরমেশ্বরা এবং ডি কে শিবকুমারের ভাই এমপি ডি কে সুরেশ বেঙ্গালুরুর শ্রী কান্তিরভা স্টেডিয়ামে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আগে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছেছেন। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বেঙ্গালুরু পৌঁছেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান ডি কে শিবকুমার। শপথ গ্রহণ শুরু হয় দুপুর সাড়ে ১২টায়। সিদ্দারামাইয়া হলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং ডিকে শিবকুমার উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন।
সিপিএম পলিটব্যুরো নেতা প্রকাশ কারাত বেশ কয়েকজন মুখ্যমন্ত্রীকে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না জানানোয় কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেছিলেন যে কংগ্রেসের অবস্থান আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়। বিরোধী জোটের বার্তা দিলেও কংগ্রেস কেরল ও তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীকে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানায়নি। কারণ কংগ্রেস আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ময়দানে নামছে। ডিসেম্বরেই তেলেঙ্গানায় নির্বাচন। বিআরএস বলেছে যে বিজেপি তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ তবে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এবং তাদের পরাজিত করতে দল প্রস্তুত।
তথ্য অনুযায়ী, ডাঃ জি পরমেশ্বরা, কেজে জর্জ, কে এইচ মুনিয়াপ্পা, সতীশ জারকিহোলি, জামির আহমেদ, দেশপান্ডের জায়গায় রামালিঙ্গা রেড্ডি, মল্লিকার্জুন খার্গের ছেলে প্রিয়াঙ্ক খাড়গে এবং এমবি পাতিল আজ মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিতে চলেছেন। দলীয় নেতা হিসেবে তাদের নামের তালিকাও রাজ্যপালের কাছে পাঠিয়েছেন সিদ্দারামাইয়া।