অপেক্ষার অবসান! দলের হাইকমান্ড কর্ণাটকের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে সিনিয়র কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়ার নামই চূড়ান্ত করেছে। সিদ্দারামাইয়া এবং ডি কে শিবকুমারও গতকাল দিল্লিতে দলের নেতা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন। দুজনের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা সারেন রাহুল গান্ধী। সূত্রের খবর, শিবকুমারও পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সিদ্দারামাইয়ার নাম নিয়ে সম্মতি দিয়েছেন। সেই সঙ্গে শিবকুমার হচ্ছেন রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী।
পাশাপাশি তিনি রাজ্য মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে চলেছেন বলেই সূত্রের খবর। যদিও শিবকুমার শিবির দাবি করেছে যে পার্টি নেতৃত্ব আড়াই বছরের মেয়াদ-ভাগাভাগির সূত্রে সম্মত হয়েছে, দলীয় নেতৃত্ব প্রকাশ্যে এবিষয়ে কোন ঘোষণা করবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। ২০ মে হতে চলেছে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান।
প্রবীণ কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়ায় হচ্ছেন কর্ণাটকের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী। দলের তরফে ডি কে শিবকুমারকে উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তিনি রাজ্য মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে চলেছেন বলেই দলীয় সূত্রের খবর। ২০ মে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন কর্ণাটকের নতুন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, বুধবার, শীর্ষ দুই মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী সিদ্দারামাইয়া এবং দলের রাজ্য সভাপতি ডি কে শিবকুমার দিল্লিতে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে তাঁর বাসভবনে দেখা করেন।
আরও পড়ুন: < হিন্দুত্ব প্রশ্নে ধীরেন্দ্র শাস্ত্রীর বক্তব্যকে কটাক্ষ, সংবিধানের পাঠ শিখিয়ে দিলেন যোগ্য জবাব >
সিদ্দারামাইয়া এবং শিবকুমার উভয়েই আলাদা ভাবে দিল্লিতে দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন। ১০ মে কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ২২৪টি আসনের মধ্যে ১৩৫টি আসনে জয়লাভ করে। বিজেপি পায় মাত্র ৬৬টি আসন। ‘কিংমেকার’ হওয়ার আশা জিইয়ে রেখে জেডিএস পায় মাত্র ১৯টি আসন নিয়ে কম ছিল। সেই থেকে রাজ্যের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন সেই নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে দলীয় হাইকমান্ড। অবশেষে কাটল জট। রাজ্যের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ২০ মে শপথ নিতে চলেছেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া ।
বুধবার, মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এবং দলের রাজ্য সভাপতি ডি কে শিবকুমার এবং কংগ্রেস নেতৃত্বের মধ্যে দ্বিতীয় দফার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দলীয় সূত্রের খবর তাতেই মেলে সমাধান সূত্র। নবনির্বাচিত বিধায়কদের বেশিরভাগই সিদ্ধারামাইয়াকেই মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে সমর্থন করেছেন।
আরও পড়ুন: < ‘অবৈধ’ মন্তব্যে FIR দায়ের, তেড়েফুঁড়ে শিন্ডে সরকারের বিরুদ্ধে ‘বিদ্রোহ’ ঘোষণা >
বৈঠকের আগে, শিবকুমার এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘দল আমার কাছে মন্দির, কংগ্রেস পার্টি আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি, তাই চিন্তা্র কোন কারণ নেই’। রাজ্য কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ সংক্রান্ত একটি খবর প্রত্যাখ্যান করে তিনি বলেছিলেন যে ‘কংগ্রেস তাঁর কাছে মায়ের মতো এবং পদত্যাগ করার প্রশ্নই আসে না’।
রাজনৈতিক উত্থান-পতনের মধ্যেই সূত্রের খবর, খড়গের সঙ্গে বৈঠকে ডি কে শিবকুমার মুখ্যমন্ত্রী পদে অনড় ছিলেন। তিনি এটাও বলেছেন যে ‘আমরা ২০১৯ সালে সিদ্দারামাইয়ার কারণে হেরেছিলাম এবং ২০২০ সালে আমাদের সরকারও পতনের মুখে পড়ে। তাহলে কেন সিদ্দারামাইয়াকে মুখ্যমন্ত্রী করা হচ্ছে’।
মল্লিকার্জুন খাড়গের সঙ্গে বৈঠকের পর সিদ্দারামাইয়া এবং দলের রাজ্য সভাপতি ডি কে শিবকুমার দুজনেই আলাদা ভাবে এদিন রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন। দুই নেতার সঙ্গে দলের হাইকমাণ্ডের দীর্ঘক্ষণ বৈঠকের পরেই মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে সিদ্দারামাইয়ার নাম সামনে আনা হয়। আজ সন্ধ্যায় বেঙ্গালুরুতে দলীয় বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে সিদ্দারামাইয়ার নাম আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করবে দলীয় হাইকমান্ড।