কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়লাভের একসপ্তাহ পর শনিবার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন সিদ্দারামাইয়া। উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন ডিকে শিবকুমার। পাশাপাশি, শপথ নিলেন আট মন্ত্রীও। শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস হাইকমান্ডের নেতারা। এসেছিলেন তাবড় বিরোধী নেতৃত্বও। শেষ পর্যন্ত সব ভালোয় মিটলেও গত একসপ্তাহে কংগ্রেসের এই সুখী ছবিটা বারেবারে বিপর্যস্ত হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী আর উপমুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে দীর্ঘসময় ধরে মতপার্থক্য চলেছে দলের অভ্যন্তরে। কারণ, সিদ্দরামাইয়া ও শিবকুমার- দু'জনেই মুখ্যমন্ত্রী হতে চাইছিলেন। আর, এই চাওয়াই পিছিয়ে দিয়েছে মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠান। পাশাপাশি, সিদ্দারামাইয়া ও শিবকুমার লবির বিষয়ও আছে। সেই জন্য গোটা মন্ত্রিসভা শনিবার শপথ গ্রহণ করতে পারল না-বলেই অভিযোগ উঠেছে।
প্রথমে পরিকল্পনা ছিল সিদ্দারামাইয়া ও শিবকুমারের সঙ্গে কমপক্ষে ২৫ জন মন্ত্রী শপথগ্রহণ করবেন। কর্ণাটকের মন্ত্রিসভায় ৩৩ জন সদস্য থাকতে পারেন। সূত্রের খবর, সেই তালিকা নিয়ে সিদ্দারামাইয়া ও শিবকুমারের মতভেদ চরমে ওঠে। দুজনের মধ্যে কিছু নাম অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে মতভেদ ছিল। তাদের অন্যতম কর্ণাটক বিধান পরিষদের বিরোধী দলনেতা বিকে হরিপ্রসাদ, বি জেড জমির আহমেদ খান, দীনেশ গুন্ডু রাও ও কৃষ্ণা বায়রে গৌড়া।
সূত্রের খবর, যে চার মন্ত্রী আজ শনিবার শপথ নিয়েছেন, সেই বি জেড জমির আহমেদ খান, কেজে জর্জ, এমবি পাতিল ও সতীশ জারকিহোলি সিদ্দারামাইয়ার অনুগত। পাশাপাশি, রামালিঙ্গা রেড্ডিকেও শিবকুমারের ঘনিষ্ঠ বলে মনে করা হয়। বাকি তিন জন— জি পরমেশ্বরা, কেএইচ মুনিয়াপ্পা ও কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের ছেলে প্রিয়াঙ্ক খাড়গে হাইকমান্ডের পছন্দের বিধায়ক জন্য মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েছেন।
আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনের পরই দলীয় শক্তি নিয়ে বিরাট বার্তা সুরজেওয়ালার
সূত্রের খবর, মন্ত্রীদের তালিকা নিয়ে আলোচনা শুক্র এবং শনিবার গভীর রাত পর্যন্ত চলে। আলোচনায় সিদ্দারামাইয়া, শিবকুমার ছাড়াও ছিলেন এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কেসি ভেনুগোপাল, কর্ণাটকের এআইসিসি ইনচার্জ রণদীপ সুরজেওয়ালা। তাঁরা কয়েক দফা বৈঠক করেন। এই বৈঠকে মল্লিকার্জুন খাড়গেও অংশ নিয়েছিলেন।