তৃণমূলে ফিরলেন প্রয়াত সোমেন মিত্রের স্ত্রী শিখা মিত্র। রবিবার শিখা মিত্র তৃণমূলে ফিরলেও তাঁর পুত্র রোহন এখনও রয়েছেন কংগ্রেসেই। এদিন দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূল সাংসদ মালা রায় ও চৌরঙ্গির বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দেন সোমেন-জায়া।
পুরনো দল তৃণমূলে ফিরলেন সোমেন মিত্রের স্ত্রী শিখা মিত্র। তাঁর হাতে এদিন দলের পতাকা তুলে দিয়েছেন দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূল সাংসদ মালা রায়। পুরনো দলে ফিরে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন শিখা মিত্র। দলের সঙ্গে মতবিরোধ তৈরি হওয়ায় এর আগে তৃণমূলের সঙ্গ ছেড়েছিলেন শিখা মিত্র। তৃণমূল ছাড়লেও সরাসরি কংগ্রেসে যোগ দেননি তিনি। বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকে শিখা মিত্রের তৃণমূলে ফেরা নিয়ে জল্পনা বাড়ছিল। অবশেষে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে রবিবাসরীয় দুপুরে তৃণমূলে ফিরলেন সোমেন-জায়া।
এদিন তৃণমূলে ফিরে শিখা মিত্র বলেন, "মতানৈক্য হলেও কোনওদিন তৃণমূল ছাড়িনি। কংগ্রেসে যোগ দিইনি। জীবন দিয়ে মানুষের জন্য কাজ করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে এবার সঙ্গ দিতে চাই। মমতা ফোন করে আমার খোঁজ নিয়েছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে শ্রদ্ধা করেন। ওঁর ইচ্ছাই এবার পূরণ হল।" উল্লেখ্য, বিধানসভা ভোটের আগে শিখা মিত্রের বিজেপি যোগের জল্পনা তৈরি হয়। এমনকী শুভেন্দু অধিকারী তাঁর বাড়িতে গিয়েও দেখা করে এসেছিলেন। এরপরেই হঠাৎ করে বিজেপি প্রার্থী তালিকায় শিখা মিত্রের নাম উঠে আসে। তাতে বেশ ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন শিখা মিত্র। তাঁর সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই তাঁকে বিজেপি প্রার্থী বলে ঘোষণা করেছে বলে জানিয়েছিলেন শিখা মিত্র।
আরও পড়ুন- আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক যাত্রী বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়াল কেন্দ্র
২০১১ সালেও তৃণমূলের টিকিটেই চৌরঙ্গি কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন সোমেন-জায়া। ২০১৪ সালে দলের সঙ্গে মতানৈক্য তৈরি হওয়ায় তৃণমূল ছাড়েন তিনি। পরে বিধায়ক পদেও ইস্তফা দিয়েছিলেন শিখা মিত্র। রাজ্যে বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকে শিখা মিত্রের তৃণমূলে ফিরতে পারেন বলে জল্পনা বাড়ে। জানা গিয়েছে, তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফেও শিখাদেবীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। এমনকী এব্যাপারে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে তৎপরতা নেন বলে শোনা যায়। দলের সঙ্গে যাবতীয় দূরত্ব ঘুঁচিয়ে ফের জোড়াফুলে ফিরলেন শিখা মিত্র। তৃণমূলের বঙ্গ জননী শাখায় শিখা মিত্রকে গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হবে বলে এদিন জানিয়েছেন দলের সাংসদ মালা রায়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন