এবার সিবিআই আধিকারিকের আত্মহত্যার অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কাঠগড়ায় তুললেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির দ্বিতীয় শীর্ষনেতা মণীশ সিসোদিয়া। সোমবারই বিজেপি এক স্টিং অপারেশনের ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে। সেই ভিডিও ফুটেজ অনুযায়ী, কেজরিওয়াল ও সিসোদিয়া দুর্নীতিতে ডুকে। তাঁরা কোটি কোটি টাকা কমিশন নিয়েছেন।
তারপরই খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে পালটা আক্রমণের রাস্তায় হাঁটলেন সিসোদিয়া। তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপির স্টিং অপারেশন নিয়ে সিসোদিয়া মুখ খুলেছেন। তাঁর কটাক্ষ, 'সিবিআই যখন আমার বিরুদ্ধে কোনও দুর্নীতির নামগন্ধ পেল না। যখন আমাকে ক্লিনচিট দিতে যাচ্ছে, সেই সময় বিজেপি দাবি করা শুরু করল যে তারা আমার বিরুদ্ধে স্টিং অপারেশন করেছে।'
বিজেপির স্টিং অপারেশনে দাবি করা হয়েছে, বাতিল করা আবগারি নীতি চালু থাকাকালীন দিল্লিতে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। ওই নীতিতে সুবিধা পেয়েছেন বিভিন্ন বেসরকারি লাইসেন্স প্রাপক। সেই লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার জন্য তাঁদের থেকে কোটি কোটি টাকা কমিশন নিয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও মণীশ সিসোদিয়া।
বিজেপির সেই অভিযোগের পরই মণীশ সিসোদিয়া পালটা অভিযোগের রাস্তায় হাঁটেন। তিনি অভিযোগ করেন, 'গোটাটাই বিজেপির চক্রান্ত। আমাকে গ্রেফতার করার জন্য সিবিআই আধিকারিকদের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই চাপ এতটাই ছিল যে একজন সিবিআই অফিসার আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন।'
আরও পড়ুন- লিজ ট্রাস না-ঋষি সুনাক, কে বসবেন ব্রিটেনের কুর্সিতে, ঠিক হবে আজই
এই প্রসঙ্গে সিসোদিয়া বলেন, 'দুই সপ্তাহ আগে, একজন সিবিআই আধিকারিক আত্মহত্যা করেছেন। সেই আধিকারিকের নাম জিতেন্দ্র কুমার। তিনি সিবিআইয়ের দুর্নীতিদমন শাখার আইনি পরামর্শদাতা ছিলেন। কোন বিষয়টি আইনি, আর কোনটা বেআইনি, সেই বিষয়ে মতামত জানানোটাই ছিল তাঁর কাজ। তিনিই আমার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের বিষয়টি বৈধ কি না, তা খতিয়ে দেখছিলেন।'
সিসোদিয়া বলেন, 'আমরা জানতে পেরেছি যে মিথ্যে মামলা দেওয়ানোর জন্য তাঁর ওপর চাপ তৈরি করা হয়েছিল। মামলা এমনভাবে সাজাতে বলা হয়েছিল, যাতে আমাকে গ্রেফতার করা যায়। কিন্তু, ওই আধিকারিক এই সেই অনুমতি দেননি। আর, সেই জন্য তাঁর ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করা হয়। যার জেরে তিনি আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন।'
Read full story in English