পরিবারে 'তু তু ম্যায় ম্যায়' নেই। কিন্তু, এখন বাড়ির বাইরে পা রাখলেই একে অপরকে দুষছেন। একে অপরের প্রবল প্রতিপক্ষ। দেখে প্রথমে কিছুটা অবাক হলেও দু'জনের হাতের ফুল ধেখে ধন্দ কাটতে বেশি সময় লাগছে না পাড়া-প্রতিবেশীদের। আসলে ভোট ময়দানে লড়াই এবার ননদ, বৌদির।
Advertisment
কাঁথি পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডে এবার তৃণমূলের প্রার্থী শ্রাবণী পাল(জানা)। আর তাঁর বিপক্ষে পদ্ম পতাকা নিয়ে ভোটের আসরে অপর্ণা বেরা। বাজিমাত করতে ননদ অপর্ণা ঘাস-ফুলের দুর্নীতিকে প্রচচারে হাতিয়ার করেছেন। পাল্টা রাজ্য সরকারের ৬৪টি সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্পকেই মানুষের সামনে তুলে ধরছেন বৌদি শ্রাবণী।
বৌদি শ্রাবণী পাল(জানা) এবং ননদ অপর্ণা বেরা।
Advertisment
দক্ষিণ ধর্মদাসবাড় এলাকায় ভোটের প্রচারে ঘুরতে ঘুরতে গেরুয়া প্রার্থী অপর্ণা বেরা বলছিলেন, 'অভূতপূর্ব সাড়া। রাজ্য জুড়ে দুর্নীতি ও কেন্দ্রের সুযোগ সুবিধার কথা তুলে ধরছি । ভালো ফল নিয়ে আমি নিশ্চিত ১০০ শতাংশ আত্মবিশ্বাসী।' একই দাবি তৃণমূল প্রার্থী বৌদি শ্রাবণী পাল(জানা)রও। তাঁর কথায় 'দল আমাকে প্রার্থী করেছে। মানুষের কাছে দল ও সরকারের দেওয়া সুযোগ সুবিধা নিয়ে প্রচার চালাচ্ছি। ভালোই সাড়া পাচ্ছি। আমরাই জিতবো।'
ভোটে তাঁদের প্রতিপক্ষ বানিয়েছে, বাড়ির মধ্যে ননদ-বৌদির সম্পর্ক কেমন? জবাবে তৃণণূেলর শ্রাবণী বলেন, 'ময়দানে নেমেছি রাজনীতি করতে। ননদ ও আমার সম্পর্ক ভালোই।' বৌদির কথায় প্রতিফলন ননদ অপর্ণার মুখেও।
কাঁথি সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ড থেকে শ্রাবণী,অপর্ণার বাড়ি যাওয়ার ঢালাই রাস্তা- পুরোটাই মুড়ে ফেলা হয়েছে তৃণমূল, বিজেপির পতাকা, ব্যানার, ফেস্টুনে। ফাঁকা নেই একটিও দেওয়ালও। ওয়ার্ডের অন্যান্য জায়গাতেও চলছে দেওয়াল লেখা। লড়াই বাইরে, তবে দুই পরিবারের সদস্যরা জানেন যে এই দু'জনের যেই জিতুক সেই হবেন ঘরের লোক। প্রশ্ন, ননদ-বৌদির যেই জনপ্রতিনিধি হবেন, তাঁকে ওয়ার্ডের বাসিন্দারাও ঘরের লোক হিসাবেই পাবেন তো?