রাফাল 'দুর্নীতি' প্রসঙ্গে রাহুল গান্ধীর লাগাতার আক্রমণের মুখে এদিন লোকসভায় 'ঝলসে' উঠলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। রাফাল প্রশ্নে কেন প্রধানমন্ত্রী মোদী বা প্রতিরক্ষামন্ত্রী কথা বলেন না, এই প্রশ্ন বারবার তুলেছে রাহুলের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস। এদিন, যেন সেই প্রশ্নের জবাব দিতেই স্বয়ং ময়দানে নেমেছিলেন নির্মলা। 'রক্ষামন্ত্রী'র এদিনের বক্তৃতার তারিফ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি এবং বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। তবে, রাহুল গান্ধীর দাবি, রাফাল প্রসঙ্গে একাধিক প্রশ্ন উঠলেও, শেষ পর্যন্ত কোনও উত্তরই পাওয়া গেল না। এবার জেনে নেওয়া যাক, শুক্রবার ঠিক কী বললেন সীতারামন-
* আমরা প্রতিরক্ষা নিয়ে রফা করি না, আমরা প্রতিরক্ষা সুনিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় কাজ করি।
* অঘটন না ঘটা পর্যন্ত কংগ্রেস ফাইটার জেট কিনতে চায়নি। বরং বায়ুসেনা (রাফালের জন্য) ভুগছে জেনেও (দলের পকেটে) টাকা আসবে না বুঝে চুক্তি সম্পাদন করেনি কংগ্রেস।
* মোদী সরকার অনিল আম্বানিকে সুবিধা পাইয়ে দিয়েছে, এই অভিযোগের মুখে বফর্সের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন সীতারামন। তাঁর খোঁচা, "যতবার এএ (অনিল আম্বানি) প্রসঙ্গ আসবে, ঠিক ততবারই কিউ (কুয়ত্রোচ্চি) এবং আরভি (রবার্ট ভদড়া)-র নাম উঠে আসবে"।
* হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (হ্যাল)-কে বরাত না দেওয়ার যে অভিযোগ রাহুল করেছেন, সেটিকে 'কুম্ভীরাশ্রু' বলেছেন নির্মলা সীতারামন। তাঁর প্রশ্ন, আমেঠিতে হ্যালের যে কেন্দ্র রয়েছে, সেখানে মাননীয় সাংসদ রাহুল গান্ধী কতবার গিয়েছেন? রাহুল কি হ্যালের সমস্যর কথা জেনে তা নিরসনের চেষ্টা করেছেন? যদি করতেন তাহলে ভাল হত। কিন্তু, তিনি তা করেননি।
* ১২৬-এর পরিবর্তে ৩৬টি রাফাল বিমান কিনছে এনডিএ সরকার, এই তথ্য দিয়ে দেশকে বিপথ চালিত করছে কংগ্রেস। কংগ্রেস আসলে ১৮টি বিমান কিনতে চেয়েছিল, আমরা ৩৬টি কিনছে।
* সুপ্রিম কোর্টের রাফাল রায় তুলে ধরে সীতারামন বলেন, আদালত বিষয়টি বিশদে বিচার করে এরমধ্যে কোনও ত্রুটি খুঁজে পায়নি।
* প্রথম বিমানটি ২০১৬ সাল থেকে তিন বছরের মধ্যে এবং শেষ বিমানটি ২০২২ সালের মধ্যে হস্তান্তর হবে।
* অনিল আম্বানির সংস্থাকে চুক্তির মধ্যে কে আনল, রাহুল গান্ধীর এই প্রশ্নের উত্তরে নির্মা বলেন, তাঁর সরকার নতুন করে কাউকে আনেনি। বরং, এ ক্ষেত্রে ইউপিএ সরকারের নীতিই তাঁরা অনুসরণ করেছেন।
* প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চোর বলায় রাহুল গান্ধীকে এদিন এক হাত নিয়েছেন নির্মলা সীতারামন। তাঁর দাবি, প্রধানমন্ত্রী কোনও বড় বংশ থেকে উঠে আসেননি, বরং অতি সাধারণ ঘর থেকে কঠোর পরিশ্রমের দ্বারা ক্ষমতায় এসেছেন। তিনি নিজেও সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসেছেন বলে দাবি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর।
Read the full story in English