Post Poll Violence: ভারতীয় গণতন্ত্রে প্রথম নিদর্শন যেখানে মুখ্যমন্ত্রী বসে থেকে মানুষের মৃত্যু দেখছে। কারণ তাঁরা তৃণমূলকে ভোট দেয়নি। সোমবার এভাবেই রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। এদিন কলকাতা হাইকোর্ট ভোটপরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্যের আবেদন খারিজ করেছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে রাজ্যের ‘উপদ্রুত’ অঞ্চলে গিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
হাইকোর্টের এই পর্যবেক্ষণকে ধন্যবাদ জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি বলেন, 'আমি আদালতের কাছে কৃতজ্ঞ। কোর্টের নির্দেশে নির্যাতিত, নিহত এবং ধর্ষিতারা ন্যায় পাবেন।' তাঁর অভিযোগ, 'আমাদের দেশে প্রথমবার যখন সহস্রাধিক মানুষ নিজেদের বাড়িছাড়া, গ্রামছাড়া এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখাপেক্ষী।'
তিনি বলেন, ‘মহিলাদের বাড়ি থেকে বের করে ধর্ষণ করা হয়েছে। এক বৃদ্ধা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে এই অভিযোগ করেছেন তিনি বিজেপি করেন বলে ধর্ষিত হয়েছেন।‘ আর কত ধর্ষণ মুখ্যমন্ত্রী নীরব থেকে দেখবেন? এই প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন স্মৃতি ইরানি।
এদিকে, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরাতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেল কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ। সেই রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আর্জি জানিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কিন্তু, রাজ্যের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ। অর্থাৎ ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরাতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উপর গুরু দায়িত্বের যে নির্দেশ আদালত দিয়েছিল তা বহাল রইল। ফলে অস্বস্তি বাড়ল রাজ্য সরকারের।
এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চের তরফে ভারপ্রাপ্ত বিচারপতি বলেছেন, ‘জাতীয় কমিশনে ৫৪১টি অভিযোগ জমা পড়েছে। তবে রাজ্য কমিশনের কাছে একটিও অভিযোগ জমা পড়েনি। এটা খুব উদ্বেগজনক। এমন পরিস্থিতি কেন তৈরি হবে।’
এদিন আদালতে রাজ্য সরকারের তরফে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে করা পদক্ষেপের তালিকা জমা করা হয়। যা দেখে বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল বলেন, ‘এসব কিছুই দেখে লাভ নেই। তদন্ত সঠিকভাবে হচ্ছে না। হিংসায় ক্ষতিগ্রস্ত বা ঘরছাড়াদের বক্তব্য অনেক সময় পুলিশ শুনছে না, আবার শুনলেও পদক্ষেপ করছে না। তদন্তের কোনও অগ্রগতি নেই। রাজ্যের আশ্বাসে আদালতের ভরসা নেই।’
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন