প্রদেশ কংগ্রেস ও প্রদেশ যুব কংগ্রেস সভাপতি কি একই পরিবার থেকে হবেন? এই নিয়ে বিগত কিছুদিন ধরে আলোচনায় মেতে উঠেছিল প্রদেশ কংগ্রেস দপ্তর। কিন্তু প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের পুত্র রোহন যুব কংগ্রেসের নির্বাচন হেরে যাওয়ায় তাঁকে আপাতত সহ সভাপতি হয়েই থাকতে হচ্ছে। অবধারিতভাবেই বোধহয় বিজয়ী প্রার্থী শাদাব হোসেনের জয়ের আড়ালে সকলেই হাত দেখছেন বহরমপুরের সাংসদ ও প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর। বিশেষ করে যখন ইদানিং প্রদেশ কংগ্রেসের কোনও অনুষ্ঠানেই আর দেখা যাচ্ছে না অধীরবাবুকে।
হঠাৎ করেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল অধীরবাবুকে। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধী সোমেনবাবুর নাম ঘোষণা করেছিলেন সভাপতি হিসাবে। সেদিন থেকেই অদ্ভুতভাবে নীরব রয়েছেন 'মুর্শিদাবাদের রবিন হুড'। তখন পর্যন্ত রাজ্য কংগ্রেস নেতৃত্বের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতায় সবচেয়ে আক্রমনাত্মক ছিলেন তিনিই।
আরও পড়ুন: মমতাকে হারাতে হলে, অধীরের কংগ্রেস না ছেড়ে উপায় নেই: মুকুল
প্রদেশ যুব সভাপতি পদের নির্বাচনে রোহনের হারের কারণ কী? সোমেনবাবু স্পষ্ট বলেছেন, "যুব কংগ্রেসের ব্যাপার। তাদের নির্বাচন হয়েছে। কেউ কোনও অভিযোগ করেনি। একজন হেরেছে, একজন জিতেছে। দুর্ভাগ্যবশত, যে হেরেছে সে আমার ছেলে। কিন্তু সেটা যুব কংগ্রেসের বিষয়, আমার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। যে জিতেছে তাঁকে আমি স্বাগত জানাই। যে হেরেছে, আশা করব সে ভবিষ্যতে আরও ভাল কাজ করবে। আমরা একইসঙ্গে কাজ করব।" শাদাবের জয়ের পিছনে কি প্রাক্তন সভাপতি? প্রশ্ন শোনামাত্রই অধীরবাবুর ছোট্ট উত্তর, "না।"
প্রদেশ যুব সভাপতি নির্বাচনে ৯,১১৫ টি ভোট পেয়ে শাদাব হোসেন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। ৭,২৬৯ টি ভোট পেয়েছেন রোহন মিত্র। দুদিন ধরে ভোট নেওয়া হয়।
এদিকে সেপ্টেম্বরে প্রদেশ সভাপতি বদল হওয়ার পর থেকে কলকাতায় প্রদেশ কংগ্রেসের কোনও কর্মসূচিতেই দেখা যায়নি প্রাক্তন সভাপতিকে। তা নিয়েও চর্চা রয়েছে প্রদেশ নেতাদের মধ্যে। অধীরপন্থী নেতাদের বক্তব্য, অধীরবাবু যখন দায়িত্বে ছিলেন, অনেকটাই নিষ্ক্রিয় ছিলেন বেশ কিছু শীর্ষ নেতা। এখন তাঁরা কলকাতার রাস্তা হেঁটে বেড়াচ্ছেন। সেই সময় দলের আন্দোলনে তাঁদের দেখা যেত না। এখন আবার সোমেন মিত্র সভাপতি হওয়ার পর অধীর চৌধুরী কোনও আন্দোলনে হাজির থাকতে পারছেন না। একমাত্র জেলা ভিত্তিক মিটিং-এ অধীর চোধুরী প্রদেশ দপ্তরে এসেছিলেন, এবং রাকেশ সিংকে সঙ্গে নিয়ে বিদ্যুতের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে মহানগরের পথে নেমেছিলেন।