মহিলা সুংরক্ষণ বিলে ছাড়পত্র দিয়েছে মোদী ক্যাবিনেট। সোমবারর সন্ধ্যায় মোদী মন্ত্রিসভার মন্ত্রীরা বৈঠকে বসেছিলেন। সূত্রের খবর, সেখানেই এই বিলে সবুজ সংকেত মিলেছে। এই বিল চলতি বিশেষ অধিবেশনে পেশ করা হবে কিনা তা নিয়ে এখনও সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি। মঙ্গলবার সকালে এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী। মহিলা সংরক্ষণ নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে হলে সনিয়া সাফ বলেন, 'এটা আমাদের।'
কংগ্রেস মহিলা সংরক্ষণ বিল আনার দাবি জানিয়েছে আগেই। হাত শিবিরের দাবি, এই বিল এনেছেন তাঁরাই, এবার পাশ হোক এই বিল।
২০০৮ সালেই মহিলা সংরক্ষণ বিলের খসড়া তৈরি করেছিল কংগ্রেস। এই বিল রাজ্যসভার পাশ হলেও লোকসভায় পাশ হয়নি। ২০১৮ সালে রাহুল গান্ধী এই বিল নিয়ে চিঠি লিখেছিলেন প্রধানমন্ত্রীকে। জেএমএম সাংসদ মহুয়া মাজিও এই বিলের পক্ষে মত দিয়েছেন। তিনি বলেও, বহুদিন ধরেই এই বিলের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। এই বিলে তিনি তফশিলি, উপিজাতি, জনজাতিদের সংরক্ষণ নিয়েও সোচ্চার হয়েছেন।
মহিলা সংরক্ষণ বিল সংক্রান্ত পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে কংগ্রেস সোমবার এক্সে (পূর্বে টুইটার) একাধিক পোস্ট করেছিল। সেখানে উল্লেখ, কংগ্রেস দীর্ঘদিন ধরে সংসদে মহিলা সংরক্ষণ বিলটি উত্থাপন এবং পাস করার দাবি দীর্ঘ দিন ধরে উত্থাপন করেছে। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ এক্সবার্তায় লিখেছেন, 'মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে আমরা কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই এবং বিলের বিশদ বিবরণের জন্য অপেক্ষা করছি।' তিনি আরও বলেন, 'বিশেষ অধিবেশনের আগে সর্বদলীয় বৈঠকে এটি খুব ভালভাবে আলোচনা করা যেত এবং গোপনীয়তার আড়ালে কাজ করার পরিবর্তে ঐকমত্য তৈরি করা যেত।'
প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা প্রবীণ কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম মঙ্গলবার সংসদের বিশেষ অধিবেশন চলাকালীন বিলটি উত্থাপন এবং পাস হওয়ার আশা করছেন। এক্সবার্তায় তিনি লিখেছেন, 'এই অধিবেশনে যদি সরকার মহিলা সংরক্ষণ বিল পেশ করে তবে এটি কংগ্রেস এবং ইউপিএ সরকারের সহযোগিদের জন্য বিশাল জয় হবে।' মনে রাখবেন, ইউপিএ সরকারের আমলেই বিলটি (৯-৩-২০১০) তারিখে রাজ্যসভায় পাস হয়েছিল। তার ১০ বছর পরে, বিজেপি বিলটিকে ফের সংসদে পেশের কথা শোনা যাচ্ছে। আশা করি যে বিলটি সংসদে উত্থাপিত হবে এবং এই অধিবেশনেই পাস হবে।'