ছত্তিশগড়ের রায়পুরে কংগ্রেসের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে যেন তাঁর রাজনৈতিক কর্মজীবন সমাপ্ত করার ইঙ্গিত দিলেন দলনেত্রী সনিয়া গান্ধী। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর ইনিংস 'ভারত জোড়ো' যাত্রার মধ্যে দিয়ে শেষ হতে পারে। এই 'ভারত জোড়ো' যাত্রাকে দলের পক্ষে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবেও তিনি চিহ্নিত করেছেন। কংগ্রেসের ৮৫তম পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে বক্তব্য রাখার সময় সনিয়া গান্ধী একথা বলেন। এই ব্যাপারে সনিয়া বলেন, '২০০৪ ও ২০০৯ সালে ডক্টর মনমোহন সিংয়ের নেতৃত্বে নির্বাচনে জয় আমাকে ব্যক্তিগত সন্তুষ্টি দিয়েছে। কিন্তু, আমার ইনিংস কংগ্রেসের মোড় ঘোরানো ভারত জোড়ো যাত্রার মধ্যে দিয়ে শেষ হলে, তা আমাকে আরও বেশি সন্তুষ্টি দেবে।'
সনিয়া গান্ধী বলেন, 'এটি কংগ্রেস এবং সমগ্র দেশের জন্য একটি কঠিন সময়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপি প্রতিটি প্রতিষ্ঠান দখল করে নিয়েছেন। বিজেপি ঘৃণার আগুনে ইন্ধন দিচ্ছে। সংখ্যালঘু, নারী, দলিত এবং উপজাতিদের নিষ্ঠুরভাবে নিশানা করছে। আমাদের অবশ্যই শক্তভাবে বিজেপির শাসনের মোকাবিলা করতে হবে, মানুষের কাছে পৌঁছতে হবে এবং স্পষ্টভাবে আমাদের বার্তা পৌঁছে দিতে হবে।' শিল্পপতি গৌতম আদানিকে নিয়ে জড়িত বিতর্কেও মুখ খুলেছেন কংগ্রেস নেত্রী। তিনি নাম না-করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানান। একজন নির্দিষ্ট ব্যবসায়ীর পক্ষ নিয়ে সরকারকে অর্থনৈতিক ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়ার জন্যও প্রধানমন্ত্রীর তীব্র সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস নেত্রী।
আরও পড়ুন- অমৃতপাল সিংয়ের সমর্থকদের তাণ্ডব, খালিস্তান আন্দোলনের উৎপত্তি কোথা থেকে?
তিনি আরও বলেছেন যে কংগ্রেস কেবল একটি রাজনৈতিক দল নয়। এটি সমস্ত ধর্ম, বর্ণ এবং লিঙ্গের মানুষের কণ্ঠস্বরকে প্রতিফলিত করে। সনিয়া গান্ধী দৃঢ়ভাবে জানান, তাঁর দল সমস্ত পিছিয়ে পড়া মানুষের স্বপ্ন পূরণ করবে। প্রাক্তন কংগ্রেস প্রধানের অভিযোগ, মোদী সরকারের কাজকর্ম সংবিধানে বর্ণিত মূল্যবোধের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করে চলেছে। ১৯৯৮ সালে সনিয়া গান্ধী কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্ব নেন। সেই সময় দল মাত্র তিনটি রাজ্য মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা এবং মিজোরামে ক্ষমতায় ছিল। আর, বর্তমানে কংগ্রেস মাত্র দুটি রাজ্য রাজস্থান ও ছত্তিশগড়ে ক্ষমতায় রয়েছে।