দলের মধ্যেই বিরোধী সুর মাথাচাড়া দিয়েছে। এর মধ্যেই চিকিৎসকদের পরামর্শে গোয়ার পৌঁছেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। কিন্তু এর ফাঁকেই অর্থ, বিদেশ ও জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ে নীতি নির্ধারণের জন্য দলের মধ্যেই কমিটি গঠন করলেন সোনিয়া। তিনটি কমিটিতেই রয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ডাঃ মনমোহন সিং।
নীতি নির্ধারণে নবগঠিত কংগ্রেসের অর্থ কমিটিতে রাখা হয়েছে পি চিদাম্বরম, মল্লিকার্জুন খাড়গে ও দ্বিগিজয় সিংকে। এই কমিটির আহ্বায়ক প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী জয়রাম রমেশ।
বিদেশ বিষয়ক কংগ্রেসের নীতি নির্ধারক কমিটির সদস্য আনন্দ শর্মা, শশী থারুর সলমান খুরশিদ ও স্তগিরি উলাকা। খুরশিদ এই কমিটির আহ্বায়ক।
রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা গুলামনবি আজাদ, বীরাপ্পা মইলি, ভিনসেন্ট এইচ পালা ও ভি ভাইথিলিয়াঙ্গম হলেন দলের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক নীতি নির্ধারণ কমিটির সদস্য। পালাকে এই কমমিটির আহ্বায়ক কা হয়েছে।
এআইসিসি-র জেনারেল সেক্রেটারি কে সি বেণুগোপাল বলেছেন, 'দলের প্রধান অর্থ, বিদেশ ও জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ে নীতি নির্ধারণের জন্য দলের মধ্যেই কমিটি গঠন করেছেন। এই সব ইস্যুতে দলের সিদ্ধান্ত কী হবে তা এি কমিটি প্রথামিকভাবে চূড়ান্ত করবে।'
দলে সঠিক নেতৃত্ব ও কোলনলচে বদলের দাবিতে এর আগে কংগ্রেসের ২৩ নেতা সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি দিয়েছিলেন। যা ঘিরে জাতীয় রাজনীতিতে জোর চর্চা শুরু হয়। শতাব্দী প্রাচীন দলের অভ্যন্তরের ক্ষোভ-বিক্ষোভও আরও প্রকটভাবে সামনে চলে আসে। বিশেষ সভা ডেকে সভানেত্রীর পদ ছাড়তে চান সোনিয়া গান্ধী। পরে অবশ্য ফের তাঁকেই সভানেত্রী হিসাবে মেনে নেয় সব পক্ষ। উল্লখ্য, এদিন যে তিনটি কমিটি গঠন করা হয়েছে তাতে সোনিয়া পত্র দেওয়া আনন্দ শর্মা, গুলাম নবি আজাদ, বীরাপ্পা মইলি, শশী থারুরদের মতো নেতাদের সামিল করা হয়েছে। বিহার ভোটে দলের শোচনীয় ফলাফলের পর সম্প্রতি কপুল সিব্বল, পি চিদাম্বরমরা ফের নেতৃত্বের প্রশ্নে সরব হয়েছেন। তারপরই গড়া হল কমিটি, স্থান পেলেন 'বিদ্রোহী'রা। দলের অভ্যন্তরের কোন্দল ঠান্ডা করতেই কী তড়িঘড়ি এই পদক্ষেপ? প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন