সংসদের বিশেষ অধিবেশনের আলোচ্যসূচি কী হবে? তা জানতে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চিঠি লিখবেন সনিয়া গান্ধী। মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) গ্র্যান্ড অ্যালায়েন্স ইন্ডিয়ার (ইন্ডিয়া) বৈঠকের পর, কংগ্রেস পার্লামেন্টারি পার্টির চেয়ারপার্সন সনিয়া গান্ধী সংসদের আসন্ন বিশেষ অধিবেশনের ‘এজেন্ডা’ জানতে চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একটি চিঠি লিখবেন। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই এই চিঠি লেখা হবে। ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে সংসদের এই বিশেষ অধিবেশন শুরু হতে যাচ্ছে, চলবে পাঁচ দিন।
প্রাক্তন কংগ্রেস প্রধান সনিয়া গান্ধী আসন্ন অধিবেশন চলাকালীন লোকসভায় মহিলা সংরক্ষণ বিল দ্রুত পাসের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অনুরোধ জানাবেন। মঙ্গলবার ইন্ডিয়া জোটের বিরোধী দলগুলি দাবি করেছে যে সরকারকে স্বচ্ছতা বজায় রেখে বিশেষ অধিবেশনের আয়োজন করতে হবে। এমনকি তারা মহিলা সংরক্ষণ বিলের তাড়াতাড়ি পাস করার আহ্বান জানিয়েছে।
সূত্রের খবর প্রাক্তন কংগ্রেস প্রধান সনিয়া গান্ধী আসন্ন অধিবেশন চলাকালীন লোকসভায় বিলটি দ্রুত পাসের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে লিখবেন কারণ এটি ইতিমধ্যে রাজ্যসভায় পাস হয়েছে।
একটি বৈঠকে, বিরোধী দলগুলি আসন্ন অধিবেশনে একত্রিত হওয়ার এবং আদানি ইস্যুটি উত্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা মধ্যপ্রদেশে প্রথম বিরোধী জোটের যৌথ জনসভা এবং পরবর্তী সভা ভোপালে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সনিয়ার বাসভভনে আয়োজিত এক বৈঠকে আসন্ন অধিবেশনে গৃহীত কৌশল নিয়েও আলোচনা করেছেন।
এবিষয়ে খাড়গে বলেন, নরেন্দ্র মোদী সরকার প্রথমবারের মতো এজেন্ডা ছাড়াই সংসদের বিশেষ অধিবেশন আহ্বান করছে। বৈঠকের পর তিনি বলেন, "কোন বিরোধী দলের কাউকেই পরামর্শ বা জানানো হয়নি। যা গণতন্ত্রের রীতির পরিপন্থী”। পাশাপাশি তিনি উল্লেখ করেন, “বিজেপি মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব, মণিপুর, চিনের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যা, সিএজি রিপোর্র্টের মতো মূল বিষয়গুলিকে একপাশে রাখতে চায়। সেই বিষয়গুলি থেকে দেশের মানুষের নজর ঘোরানোর চেষ্টা করে চলেছে। বিজেপিকে জানাতে চাই – ইণ্ডিয়া জুড়েগা, ভারত জিতেগা,"।
বৈঠকের পরে, লোকসভায় কংগ্রেস নেতা গৌরব গগৈ পরে সাংবাদিকদের বলেন, কেন এই বিশেষ অধিবেশন আহ্বান করা হচ্ছে সরকার এখনও এ বিষয়ে স্পষ্ট কোন মন্তব্য করেনি।
তিনি বলেন, “১২ দিন পর সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকা হচ্ছে এবং দেশ জানে না এটা কেন এই অধিবেশন ডাকা হয়েছে। সেই সঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, “আমরা দাবি করছি যে বিজেপিকে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে এবং এই বিশেষ অধিবেশনের এজেন্ডা কী তা দেশবাসীকে জানাতে হবে। ইণ্ডিয়া জোট সম্মত হয়েছে গঠনমূলক অধিবেশনে যা দেশের অগ্রগতিতে সাহায্য করতে পারে এবং তা দেশের স্বার্থে হতে হবে"
কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী, গৌরব গগৈ, প্রমোদ তিওয়ারি, রবনীত বিট্টু ছাড়াও ডিএমকে-র তিরুচি শিবা এবং টি আর বালু, এনসিপি-র সুপ্রিয়া সুলে, এএপি-র সঞ্জয় সিং ও রাঘব চাড্ডা, সিপিআই-এম-এর সীতারাম ইয়েচুরি, আরজেডি-র মনোজ ঝা, আরজেডি-র মনোজ ঝাঁ, টিএমসির ডেরেক ও'ব্রায়েন, সিপিআই-এর বিনয় বিশ্বম, এসপি-র রাম গোপাল যাদব, ভিসিকে-র ভাইকো, আরএসপি-র এন কে প্রেমচন্দ্রন এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, কংগ্রেস বলেছিল যে গঠনমূলক আলোচনার জন্য দল বিশেষ অধিবেশনে অংশ নেবে, তবে দল স্পষ্ট করে দিয়েছে যে তারা সেখানে কেবল "মোদী চালিসা" এর জন্য তারা অংশ নেবে না এবং পাঁচ দিনের বৈঠকে জনসাধারণের উদ্বেগের বিষয়গুলিও উত্থাপন করতে চায়।