প্রায় ৪ মাসের ব্যবধান। শতাব্দী প্রাচীন দলের নেতৃত্বে এবং সাংগঠনিক স্তরে রদবদলের দাবিতে 'বিক্ষুব্ধ' কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে শনিবার বৈঠকে বসতে পারেন দল নেত্রী সোনিয়া গান্ধী। আগামী বছরে দলের সভাপতি নির্বাচনের আগে যাবতীয় ঘরোয়া সমস্যা, অন্তর্দ্বন্দ্ব মিটিয়ে ফেলতে চাইছে হাত শিবির। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতেই সভাপতি পদে নির্বাচন হওয়ার কথা।
গুলাম নবি আজাদ, কপিল সিব্বলের মতো ২৩ জন কংগ্রেস নেতা সনিয়াকে চিঠি লিখে শীর্ষ নেতৃত্বে সক্রিয়তার দাবি তুলেছিলেন। তাঁদের তির ছিল, কারও সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই পর্দার আড়াল থেকে রাহুলের সিদ্ধান্ত গ্রহণের দিকে। তবে সকলকে নয় বিক্ষুব্ধদের প্রতিনিধি হিসেবে পাঁচ থেকে ছয় জন প্রবীণ নেতাকে ডাকা হবে এমনটাই খবর। অস্তিত্বসঙ্কট, নেতৃত্ব–শূন্যতা, অন্তর্দ্বন্দ্বে জেরবার গোটা দল। প্রভাব পড়ছে নির্বাচনী ফলাফলের রাজনীতিতে।
এই বৈঠকে সিনিয়র নেতা মনমোহন সিং, পি চিদাম্বরম, এ কে অ্যান্টনি এবং কে সি ভেণুগোপাল থাকবেন এমনটাই আশা করা যাচ্ছে। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ এই বৈঠক পরিচালনা করবেন। ধ্যপ্রদেশের আগে অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরে হাতছাড়া হয়েছে কর্নাটকের গদি। রাজস্থানেও ‘বিদ্রোহী’ শচীন পাইলট এবং অনুগামীদের বিক্ষোভের জেরে প্রায় উল্টে গিয়েছিল সরকার।
আরও পড়ুন, “কথা শোনার বদলে আমাদের দিক থেকেই মুখ ফেরানো হল”, ক্ষোভ উগরে দিলেন কপিল সিব্বল
এর আগে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বর্ষীয়াণ নেতা কপিল সিব্বল একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, এবার কংগ্রেসের উচিত নিজের দিকে তাকানো, নিজেকে সঠিকভাবে দেখা। গত ছ’বছর ধরে এই কাজটি করা হয়নি। আর কবে হবে? আমরা জানি কংগ্রেসে কী ভুল হচ্ছে সাংগঠনিকভাবে। আমাদের কাছে তার উত্তরও রয়েছে। এমন কংগ্রেস নিজেও সেই উত্তর জানে। তবে তাঁরা তা স্বীকার করতে রাজি নয়। যতদিন না বুঝতে পারবে ততদিনে গ্রাফের অবনতি হবেই। এখন কংগ্রেসের তা পরিস্থিতি তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। যা নিয়ে দলের অন্দরে বিরোধ চরমে ওঠে। তবে সেই সব মিটিয়ে এবার দলের অন্দরের ক্ষোভ মিটবে কি না বৈঠকে সেদিকেই তাকিয়ে রাজনীতিকরা।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন