Advertisment

মমতার ব্রিগেডে সোনিয়ার বার্তা

সোনিয়া লিখেছেন, "কৃষক ও মৎস্যজীবীরা সংকটে। যুবকরা বিপন্ন। দেশ অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত। এমতাবস্থায় আসন্ন লোকসভা নির্বাচন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ..."

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

একদা রাজীব গান্ধীর স্নেহ ধন্য ও রাজীব মন্ত্রিসভার সদস্য মমতার সঙ্গে 'সোনিয়া জি'র সম্পর্ক প্রথম থেকেই 'পারিবারিক'।

"ডাক দিয়েছে মমতা, ব্রিগেড চলো জনতা"- বিগত কয়েক দিনে এই পোস্টার, ফেস্টুনে ছেয়ে গিয়েছে বাংলার আনাচ কানাচ। আর সেই 'ডাক' শুনে শনিবার ব্রিগেডে ভিড় জমিয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। তবে শুধু সাধারণ মানুষই নয়, 'মমতা জি'র আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন আসমুদ্র হিমাচলের তাবড় রাজনীতির কারবারিরা। শনিবারে কলকাতার পরিস্থিতি এমনই যে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের একটা বড় অংশ স্মরণই করতে পারছেন না শেষ কবে ভারতে এই মাত্রার বহুদলীয় রাজনৈতিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

Advertisment

উনিশের লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে জানুয়ারির উনিশ তারিখ অবিজেপি রাজনৈতিক দলগুলির সমাবেশের ডাক দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 'উদ্ধত', 'দুর্নীতিপরায়ণ', 'জনবিরোধী নীতি নিয়ে চলা' মোদী সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে 'ঐক্যবদ্ধ ভারতে'র (ইউনাইটেড ইন্ডিয়া) সভা আয়োজন করেছেন তৃণমূল নেত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বামেদের বাদ দিলে এদিনের সভায় উপস্থিত থেকেছেন দেশের প্রায় সবকটি উল্লেখ যোগ্য রাজনৈতিক দল। বাদ যাননি হার্দিক প্যাটেল থেকে জিগনেশ মেওয়ানির মতো নেতাও। কিন্তু, সভায় সশরীরে উপস্থিত থাকতে পারেননি সোনিয়া বা রাহুল গান্ধী। এর পরিবর্তে জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিনিধিত্ব করেছেন লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক মনু সিংভি। এই সভা আয়োজন করার জন্য শুক্রবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। আর আজ মল্লিকার্জুন খাড়গের হাত দিয়ে বার্তা পাঠালেন সোনিয়া গান্ধী।

আরও পড়ুন- মমতার ব্রিগেড সভায় উপস্থিত ‘রাজনৈতিক সুবিধাবাদীরা’, কটাক্ষ বিজেপির

এদিন ব্রিগেডের সভামঞ্চে সোনিয়ার বার্তা পাঠ করেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। সোনিয়া লিখেছেন, "কৃষক ও মৎস্যজীবীরা সংকটে। যুবকরা বিপন্ন। দেশ অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত। এমতাবস্থায় আসন্ন লোকসভা নির্বাচন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এটি সাধারণ ভোট নয়, এই ভোটে গণতন্ত্রের প্রতি দেশের ভরসা পুনরুদ্ধার করতে হবে। সংবিধানকে রক্ষা করতে হবে। আর সেই লক্ষ্যে দলমত নির্বিশেষে একাধিক বিরোধী নেতাদের জোটবদ্ধ করতে শনিবার ব্রিগেডের সভা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ"।

আরও পড়ুন- TMC Rally in Kolkata: ‘মোদীবাবুর এক্সপায়ারি ডেট এসে গেছে’

রাজনীতির নরম-গরম সমীকরণের বাইরে মমতা-সোনিয়ার সুসম্পর্ক বরাবরই চোখে পড়ে। একদা রাজীব গান্ধীর স্নেহ ধন্য ও রাজীব মন্ত্রিসভার সদস্য মমতার সঙ্গে 'সোনিয়া জি'র সম্পর্ক প্রথম থেকেই 'পারিবারিক'। সোনিয়া গান্ধী রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার আগে থেকেই এই সম্পর্কের সূচনা। পরবর্তীকালে সোনিয়া রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার পরও সেই ব্যক্তিগত সম্পর্ক অটুট থেকেছে। আর এই মুহূর্তে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনুযায়ী মোদী সরকারকে হঠাতে কংগ্রেস-তৃণমূলের নৈকট্য বাড়ার সম্ভবনা প্রবল। ফলে, ব্রিগেডের সভায় 'সোনিয়া জি'র উপস্থিতি চেয়েছিলেন মমতা। তবে, শেষ পর্যন্ত ব্রিগেডে সোনিয়া সশরীরে উপস্থিত না হলেও, মোদী সরকারের গোদি কাড়ার বার্তা পাঠালেন।

Advertisment