শনিবার স্পষ্ট ইঙ্গিত ছিল। রবিবার তাতেই পড়ল সিলমোহর। তৃণমূলে যোগ দিলেন ভাটপাড়ার প্রাক্তন পুরপ্রধান সৌরভ সিং। একই পথের পথিক সুনীল সিং ও তাঁর ছেলে আদিত্য সিং-ও। সৌরভ সম্পর্কে ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের ভাইপো। সুনীল সাংসদের ভগ্নিপতি।
এবারের পুরভোটে অর্জুন সিংয়ের এই তিন অতি ঘনিষ্ঠ আত্মীয়কেই প্রার্থী করেছিল পদ্ম শিবির। তবে শনিবার তিনজনই প্রার্থী পদে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। এরপরই সৌরভ, সুনীল ও আদিত্যকে দেখা গিয়েছিল মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও তৃণমূল বিধায়ক পার্থ ভৌমিকের সঙ্গে।
এ দিন তৃণমূলে যোগ দিয়ে সুনীল সিং বলেন, 'বিজেপিতে যোগ দিয়ে আমি সবচেয়ে বড় গদ্দারি করেছিলাম। রাজনৈতিক চাপেই ২০১৯ সালে তৃণমূল ছাড়তে হয়েছিল। তবে, দল ছেড়ে রাতে ঘুমতে পারতাম না। এবার তাই আবার জোড়া-ফুলে ফিরে এলাম।'
তিনি অর্জুন সিংয়ের খাসতালুক ভাটপাড়া পুরসভার পুরপ্রধান ছিলেন, সম্পর্কে সাংসদের ভাইপো। তাহলে কেন গেরুয়াসঙ্গ ত্যাগ করলেন সৌরভ সিং? জবাবে প্রাক্তন পুরপ্রধানের দাবি, 'বিজেপিতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে কাজ করা মুশকিল। ব্যারাকপুরের সভাপতির নেতৃত্বে কাজ করা যাবে না। কাকা, নাড্ডাজিকে জানিয়েও লাভ হয়নি। ওই দলে কর্মী কম, নেতা বেশি।তাই উন্নয়নে সামিল হতেই তৃণমূলে ফিরলাম।'
আরও পড়ুন- ‘ওটা পার্টি নয়, প্রপার্টি’, তৃণমূলকে বেনজির আক্রমণ দিলীপের
ভাইপো ও ভগ্নিপতির দলত্যাগ নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ। অর্জুন সিং বলেছিলেন, 'রামের ঘরে বিভীষণের বাস ছিল। আমি জানলে এদের বিজেপিতে ঢোকাতাম না। প্রার্থীও করতাম না।' কার্যত প্রতারক বলেই তাঁর তিন ঘনিষ্ঠকে দেগে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বিজেপির এই দোর্দদণ্ডপ্রতাপ নেতা।
অর্জুনের তোপের জবাবে তাঁর ভাইপো সৌরভ সিং বলেন, 'কাকা আমাকে প্রার্থী করেননি। আমি বিদায়ী চেয়ারম্যান ছিলাম। ফলে এমনিতেই প্রার্থী হতাম। আর কাকা নয়, দল আমাকে পুরপ্রধান করেছিল। কেউ কাউকে জেতায় না, আমার ও সেই সময় দলের জনপ্রিয়তাই পদ্ম প্রতীককে জিতিয়েছিল।'
ঘাস-ফুলে এসেই সৌরভ সিংয়ের সাফ দাবি, 'আগামিতে বিজেপি মুছে যাবে, এজেন্টও দিতে পারবে না।'