বুধবার বিকালে বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর মালঙ্গপাড়ায় বাঙ্গলানী গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য ছন্দা চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর স্বামী তৃণমূল নেতা অনুপ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ির ৮৬ বছরের জগধাত্রী পুজোয় যোগ দেন শোভন-বৈশাখী ও শঙ্কুদেব পণ্ডা। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব বলেন, ‘‘এটা নিতান্তই সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ। এর সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক কারণ নেই। যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ওঁর বাড়িতে যেতে, তবে তাঁর বাড়িতেও যেতে রাজি আছি’’। তবে এ প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করেননি শোভন-বৈশাখী।

আরও পড়ুন: তৃণমূলের পথে শোভন, কিন্তু শেষরক্ষা হবে তো!
প্রসঙ্গত, বিজেপিতে যোগ দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। শোভনের পারিবারিক সমস্যা নিয়ে মমতার সঙ্গে শোভনের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে। মমতার উপর চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে ১৪ অগাস্ট বিজেপিতে যোগ দেন শোভন। কিন্তু যোগদানের পরপরই বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের উপর অসন্তোষ প্রকাশ করেন শোভন-বৈশাখী। বিজেপি ছাড়ার সিদ্ধান্তের কথাও জানান এই যুগল। এরপর থেকেই বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে। গুঞ্জন ছড়ায়, তাহলে কি ফের তৃণমূলে ফেরার কথাই ভাবছেন শোভন? এই জল্পনা বাড়ে, যখন কিছুদিন আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি গিয়ে সেখানে দেড় ঘণ্টা বৈঠক করেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর ভাইফোঁটার দিন মমতার বাড়িতে শোভন-বৈশাখীর উপস্থিতি এই জল্পনাকে দ্বিগুণ করে। এই জল্পনায় আরও জল-হাওয়া জোগায়, যখন শোভনের নিরাপত্তা ফিরিয়ে দেয় রাজ্য সরকার। রাজনৈতিক কারবারিদের একাংশের মতে, শোভন-বৈশাখীর তৃণমূলে ফেরা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। অন্যদিকে, শোভন-বৈশাখীর সঙ্গে তৃণমূল নেতার বাড়িতে শঙ্কুদেবের উপস্থিতি এ জল্পনায় নয়া মাত্রা এনে দিল বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ।