ভাইফোঁটায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিকে ‘গুরুত্ব’ দিচ্ছে না বঙ্গ বিজেপি। চরম জল্পনা বাড়িয়ে মঙ্গলবার কালীঘাটে তৃণমূল সুপ্রিমোর বাড়িতে যান সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া শোভন চট্টোপাধ্যায়। শোভনের সঙ্গে মমতার বাড়িতে যান বান্ধবী তথা অধ্যাপিকা তথা বিজেপিনেত্রী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তাহলে কি বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বাড়ায় তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব কমিয়ে ঘরে ফিরছেন মমতার কানন? এ জল্পনায় এই মুহূর্তে রীতিমতো সরগরম বঙ্গ রাজনীতি। তবে শোভন-বৈশাখীর এহেন পদক্ষেপকে আমল দিতে নারাজ বঙ্গ বিজেপির একাংশ।
আরও পড়ুন: বঙ্গ বিজেপিতে বড় ভাঙন? মমতার বাড়িতে শোভন-বৈশাখী!
মমতার বাড়িতে শোভন-বৈশাখীর উপস্থিতি প্রসঙ্গে একদা তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড তথা বর্তমান বিজেপি নেতা মুকুল রায় ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, ‘‘কিছু বলার নেই। এটা যে যাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। হয়তো ভাইফোঁটার দিন গিয়েছেন’’।উল্লেখ্য, বিজেপির সঙ্গে শোভন-বৈশাখীর দূরত্ব কমানোর কাজে মধ্যস্থতার ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল মুকুল রায়কে। দিল্লিতে মুকুলের বাড়িতে শোভন-বৈশাখী বৈঠকে বসেছিলেন। সেদিনের বৈঠক শেষে মুকুল রায় দাবি করেছিলেন, ‘‘শোভন-বৈশাখী বিজেপিতেই রয়েছেন’’।
এ প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘রাজ্যপালও দু’দিন আগে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে। সামাজিক অনুষ্ঠানে সবার যাওয়া দরকার। এখানে রাজনৈতিক রং দেখি না। বহু বছর ধরে ওখানে শোভনবাবু যান। আমি এটাকে সামাজিক ভাবেই দেখছি। বাকিটা ওঁরাই বলতে পারবেন’’।
আরও পড়ুন: ‘পুজোতে শোভনদার সঙ্গে এজন্যই মন কষাকষি হয়’
বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, ‘‘দিল্লিতে দেখবেন প্রধানমন্ত্রী সোনিয়াজির বাড়িতে গিয়েছেন। এই আদানপ্রদান, সৌজন্য তো চলতেই থাকে। এই সৌজন্য নষ্ট করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সিপিএম’’। রাজ্য বিজেপির আরেক নেতা সায়ন্তন বসু বলেন, ‘‘আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি না। ওদের তো কাজে লাগানো যাচ্ছে না (বিজেপিতে)। ব্যক্তিগত সম্পর্কের কারণে যেতেই পারেন। তবে এর মধ্যে রাজনীতি রয়েছে কিনা সেটা ওদের ব্যাপার’’।
রাজ্য বিজেপি সহ-সভাপতি বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘মমতার বাড়িতে গিয়েছেন, ওটা ওঁর ব্যক্তিগত বিষয় হতে পারে। আজকের দিনতো ব্যক্তিগত দিন। হয়তো দিদির কাছে ভাই গিয়েছেন ফোঁটা নিতে। তবে এখানে যদি কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকে, তাহলে সেটা ঠিক নয়’’।