শোভন চট্টোপাধ্যায়ের অবস্থান অনেকটাই পরিস্কার করার চেষ্টা করল রাজ্য বিজেপি। মঙ্গলবার বিজেপির ঘোষিত রাজ্য কমিটির স্থায়ী আমন্ত্রিত সদস্য হিসেবে রয়েছে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের নাম। ১০০ জনের তালিকায় ৬৩ নম্বরে রয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ও কলকাতার প্রাক্তন মেয়রের নাম। তার একটু আগে ৬১ নম্বরে রয়েছে মুকুল রায়ের ছেলে বীজপুরের বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়ের নাম। অভিজ্ঞ মহলের মতে, শোভনকে নিয়ে বিতর্কের অবসান ঘটাতেই এভাবে জানান দিল বঙ্গ বিজেপি। তবে সক্রিয় রাজনীতিতে তাঁর দেখা যাওয়া নিয়ে জল্পনা থেকেই গিয়েছে।
২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে জমে উঠেছে বঙ্গ রাজনীতি। ইতিমধ্যে ঘাসফুল শিবির থেকে পদ্ম শিবিরে আসা অনেকেই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে সাড়া দিয়ে ফিরে গিয়েছেন পুরনো দলে। ২১ জুলাইয়ের শহিদ দিবসে পুরনোদের দলে ফেরার ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। তারপর ফের গুঞ্জন ছড়িয়েছিল কলকাতার প্রাক্তন মেয়র কি ঘাসফুল শিবিরে ফিরছেন? অবশ্য সেই জল্পনার পিছনে একাধিক ঘটনা পরম্পরা ছিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
আরও পড়ুন- পর্যবেক্ষক পদের অবলুপ্তি, তৃণমূলে ব্যতিক্রম অনুব্রত
তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের দূরত্বের সূত্রপাত বলে আপাত দৃষ্টিতে মনে করেন রাজনীতির কারবারিরা। বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নানা সময়ে বৈঠক করেছেন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি কথা বলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। এই বৈঠকগুলির পরই নানা জল্পনা ছড়িয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। তাছাড়া বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে কখনও গেরুয়া শিবিরের কর্মসূচিতে সক্রিয় হতে দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন- উত্তরবঙ্গে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির দৌড়ে তৃণমূল
দিল্লিতে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর ৬, মুরলি ধর লেনে সংবর্ধনা নেওয়ার পর কখনও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে সেখানে আর দেখা যায়নি। দীর্ঘ একবছর তিনি প্রকাশ্যে রাজনৈতিক কর্মসূচির বাইরে রয়েছেন। তবে যখনই কোনও জল্পনা ছড়িয়েছে তখনই বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁর বাড়িতে গিয়ে কথা বলেছেন। এ দৃশ্য দেখেছে রাজনৈতিক মহল। তবে কি এবার বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটির বৈঠকে হাজির থাকবেন শোভন? সক্রিয় হবেন রাজনীতিতে? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে বঙ্গ রাজনীতিতে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন