ভবানীপুর কেন্দ্রের উপনির্বাচনে প্রচারে ঝড় তুলতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। এখনও ওই কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিজেপি ও বাম-কংগ্রেস জোট। এদিন ভবানীপুর কেন্দ্রে প্রার্থীর হয়ে দেওয়াল লেখেন এই কেন্দ্রের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। বলেন, ''মমতা জিতবেন ও ব্যবধান যে বাড়বে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।''
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য শোভনদেববাবু এই কেন্দ্র থেকে পদত্যাগ করেন। তবে, শুধু ভবানীপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচন হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
ভবানীপুর কেন্দ্রের উপনির্বাচনের জন্য তদ্বির করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। নির্বাচন ঘোষণা করে কমিশন সেকথা জানিয়েও দিয়েছিল। এমনকী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভবানীপুর কেন্দ্রে প্রার্থী হতে চান বা উপনির্বাচন না হলে রাজ্যে সাংবিধানিক সংকট হতে পারে বলেও কমিশনকে জানিয়েছিলেন মুখ্যসচিব। কমিশন এই কেন্দ্রের উপনির্বাচন ঘোষণা করলেও রাজ্যের বাকি চার কেন্দ্রের উপনির্বাচন ঘোষণা করেনি। সেদিনই কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় নিজের রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা নিয়ে আক্ষেপ করেছিলেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি দলের স্বার্থে দু'বার বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। অভিজ্ঞ মহলের মতে, হতাশ হওয়াই স্বাভাবিক।
আরও পড়ুন- ‘কমিশন মমতাকে জিতিয়েই ছাড়বে মনে হচ্ছে’, কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের
তৃণমূল সূত্রে খবর, দলের পক্ষ থেকে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। প্রবীণ এই নেতাকে হতাশ না হতে বলা হয়েছে। তিনিই যে খড়দায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তা-ও পুনরায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে যেমন যাতায়াত করছেন, করবেন বলেছে দল। এদিকে পুজোর পর ফের দ্বিতীয় দফায় বাকি কেন্দ্রগুলোর উপনির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছে তৃণমূল নেতৃত্ব। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, সেক্ষেত্রে উপনির্বাচন না হলে রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেববাবু অনিশ্চয়তায় পড়বেন তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। স্টার ক্যামপেইনার হিসাবে কমিশনে তাঁর নাম থাকলেও নির্বাচন ঘোষণার পর তাঁকে প্রচারে দেখা যায়নি। তবে মঙ্গলবার তাঁর পাড়ায় প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে দেওয়াল লেখেন বর্ষীয়াণ এই তৃণমূল নেতা। এদিকে বুধবার ভবীনপুর কেন্দ্রে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মীসভা করার কথা রয়েছে।
মঙ্গলবারও শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'কমিশন ইচ্ছা করলে একইসঙ্গে বাকি চার কেন্দ্রেই উপনির্বাচন করতে পারত। পরিস্থিতি এখন তো ভালই। ইলেকশন কমিশন করল না তো কী আর করা যাবে। নেতৃত্বের সঙ্গেও আমার কথা হয়েছে। দলীয় নেতৃত্বও তাই মনে করে।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন