Advertisment

স্ত্রী-সন্তানকে কেবিনে ঢুকতে না দিতে সুপারকে চিঠি শোভনের আইনজীবীর

চিঠিতে শোভনবাবুর আইনজীবী লিখেছেন, শোভন-রত্নার বিবাহবিচ্ছেদের মামলা এখনও চলছে। এই পরিস্থিতিতে স্ত্রীকে হাসপাতালে তাঁর কেবিনে ঢুকতে দিলে অশান্তির ঘটনা ঘটতে পারে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Sovon, Baisakhi, Ratna, Facebook Post

ফাইল ছবি।

পরিবারকে তাঁর কেবিন থেকে দূরে রাখতে শোভনের আইনজীবীর চিঠি গেল হাসপাতাল সুপারের কাছে। এসএসকেএম-এর সুপারের উদ্দেশে লেখা চিঠিতে প্রাক্তন মেয়রের আইনজীবী বলেছেন, ‘হাসপাতালে শোভনবাবুর কেবিনে যেন ঢুকতে না দেওয়া হয় স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়-সহ সন্তানদের। যত ক্ষণ না শোভন নিজে অনুমতি দিচ্ছেন, তত ক্ষণ স্ত্রী রত্না-সহ তাঁর ছেলে সপ্তর্ষি এবং মেয়ে সুহানিকেও যেন তাঁর কাছে ঘেঁষতে না দেওয়া হয়।‘

Advertisment

সোমবার নারদ-কাণ্ডে গ্রেফতারের পর শোভনকে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীকে মঙ্গলবার এসএসকেএম-এর উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেই দিনই স্বামীর খোঁজ নিতে ছেলে সপ্তর্ষীকে নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন রত্না।

বুধবার নারদ মামলার শুনানির পর শোভনের হয়ে তাঁর আইনজীবী প্রতিমপ্রিয় দাশগুপ্ত এসএসকেএম হাসপাতালের সুপারকে চিঠি লিখে এই অনুরোধ জানান।

চিঠিতে শোভনবাবুর আইনজীবী লিখেছেন, শোভন-রত্নার বিবাহবিচ্ছেদের মামলা এখনও চলছে। এই পরিস্থিতিতে স্ত্রীকে হাসপাতালে তাঁর কেবিনে ঢুকতে দিলে অশান্তির ঘটনা ঘটতে পারে। তাতে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে পারে।

এই প্রসঙ্গে শোভনের আইনজীবী জানান, সোমবার রাতে জেলে থাকাকালীন বুকে ব্যথা অনুভব করায় মঙ্গলবার তাঁর মক্কেলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তা ছাড়াও ডায়াবিটিসে ভুগছেন তিনি। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাও রয়েছে।

তবে ছেলে সপ্তর্ষি এবং মেয়ে সুহানিকে তাঁর কেবিনের কাছে আসতে না দেওয়ার অনুরোধের কারণ হিসাবে প্রতিমপ্রিয় জানান, শোভনের কেবিনের বাইরে ইতিমধ্যেই পুলিশ মোতায়েন হয়েছে। বাবা পুলিশি নজরদারিতে রয়েছে, তা সপ্তর্ষি এবং সুহানি দেখলে তাঁদের কাছে শোভনের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে পারে। সে কারণেই ‘নিষেধ’। চিঠির শেষে এসএসকেএম-এর সুপারকে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখার আবেদন জানানো হয়েছে।

Narada Case CBI Sovon-Baisakhi SSKM Woodburn ward
Advertisment