Sovon Chatterjee: রত্নাকে শিখণ্ডী খাড়া করে আমাকে শিক্ষা দিতে চেয়েছে তৃণমূল। কলকাতা পুরভোটে রত্না চট্টোপাধ্যায়ের প্রার্থীপদ নিয়ে এভাবেই সরব হলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। ১৯ ডিসেম্বরের ভোটে ১৩১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ঘাসফুলের প্রতীকে প্রার্থী হয়েছেন বেহালা পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক তথা শোভন-পত্নী রত্না চট্টোপাধ্যায়। শোভন চট্টোপাধ্যায় এই ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর এবং পুরসভার প্রাক্তন মেয়র। সেই ওয়ার্ড থেকেই রত্নাকে তৃণমূল প্রার্থী করায় নীরবতা ভাঙলেন প্রাক্তন মেয়র।
তিনি বলেন, ‘রত্নাকে সামনে শিখণ্ডী রেখে আমাকে শিক্ষা দিতে চেয়েছে তৃণমূল। তদন্তকারী এজেন্সি বহুবার আমাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে বলতে চাপ দিয়েছে। আমি কিছু বলিনি সব নিজের কাঁধে নিয়েছি। যারা মুখ খুলেছিল তাঁরা আজ পুরস্কৃত আর আমি কিছু না বলে বহিষ্কৃত বাহ!’
যদিও শোভনের এই মন্তব্যকে পাল্টা দিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, ‘আপনাকে কেউ তিরস্কৃত করেনি। আপনি নিজে ছেড়ে চলে গিয়েছেন। আপনি দিদির পায়ে ধরতে পারতেন।‘ পুরভোটের প্রার্থীপদ নিয়ে শোভন-রত্নার দাম্পত্য কলহ যখন ফের শিরোনামে, তখন আসরে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।
রত্না চট্টোপাধ্যায়কে অবিলম্বে বেহালার ইন্দিরা দেবী রোডের বাড়ি ছাড়তে নোটিশ পাঠান বৈশাখী। তিনি বলেছেন, ‘এক মাস আগে রত্নাদেবীকে ওই বাড়ি ছাড়তে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বসত ভিটেকে পার্টি অফিস বানানো যাবে না।‘ এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, প্রায় ১ কোটি টাকায় মহারানী ইন্দিরা দেবী রোডের ওই বাড়ি শোভন চট্টোপাধ্যায়ের থেকে কিনেছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে, বিবাসরীয় ভোটের প্রচার জমজমাট। শহর কলকাতার বিভিন্ন ওয়ার্ডে রবিবার সকাল থেকে ভোটের প্রচারে প্রার্থীরা। দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারে দেখা গেল নেতাদেরও। কেউ বাড়ি-বাড়ি ঘুরে জনসংযোগ বাড়ানোর কাজ সারলেন। কেউ বা ক্যারম, ব্যাডমিন্টন খেলে সারলেন জনসংযোগের কাজ। আগামী ১৯ ডিসেম্বর কলকাতায় পুরভোট। ইতিমধ্যেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিয়েছে শাসকল তৃণমূল। প্রার্থী ঘোষণা করেছে বামেরাও। কংগ্রেসও প্রাথমিকভাবে ৬৬টি ওয়ার্ডে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। এবারের পুরভোটে কলকাতার ১২২টি ওয়ার্ডে প্রার্থী দেবে হাত-শিবির।
পুরোদমে শুরু প্রচার। কলকাতা পুরসভার ৮২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী ফিরহাদ হাকিম। রবিবার সকালে নিজের এলাকায় প্রচারে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ। কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নিয়েই এদিন চেতলায় বাড়ি-বাড়ি ঘুরে প্রচার সারলেন ফিরহাদ। সৌজন্য বিনিময় থেকে শুরু করে চলল রাজনৈতিক বাক্যালাপও। জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী ফিরহাদ।
অন্যদিকে, এদিন প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে প্রচার সারলেন ৩১ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী পরেশ পাল। ব্যাডমিন্টন, ক্যারম খেলে ভোটের প্রচারে তৃণমূল প্রার্থী। রবিবাসরীয় প্রচারে অনুগামীদের সঙ্গে নিয়ে এদিন প্রচারে বেরিয়েচিলেন পরেশ পাল। জয়ের ব্যাপারে তিনিও দারুণ আশাবাদী। তাঁর মুখে এদিন ‘খেলা হবে’ স্লোগানও শোনা গিয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন