Uttar Pradesh: উত্তর প্রদেশ ভোটে পরাজয় নিশ্চিত জেনে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোকে পিছনে লাগিয়ে দিয়েছে বিজেপি। রবিবার এই অভিযোগ করেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব। তিনি বলেন, ‘সমাজবাদী পার্টির অফিস এবং নেতাদের ফোন ট্যাপ করেছে যোগী সরকার। মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং নিজে প্রতিদিন সন্ধ্যায় বিরোধীদের কথোপকথন শোনে। আগে সরকার পতনে কেন্দ্রীয় এজেন্সি ব্যবহার হত। এখন সমাজবাদী পার্টি যাতে ক্ষমতায় না আসে। তাই কেন্দ্রীয় সংস্থাদের ব্যবহার করা হচ্ছে।‘
এদিকে, রায়বরেলিতে মহিলা শক্তি সংবাদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধি।তাঁর দাবি, ‘মহিলা স্বনির্ভরতায় কংগ্রেস পৃথক ইস্তেহার প্রকাশ করেছে। তাকে অনুসরণ করে অন্য দল এখন মহিলাদের জন্য পৃথক ইস্তেহার প্রকাশ করেছে।‘ পাশাপাশি উত্তর প্রদেশে মহিলারা নানাভাবে নির্যাতনের শিকার। এদিন অভিযোগ তোলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধি।
এদিকে, শনিবারজুড়ে সমাজবাদী পার্টির শীর্ষ নেতার বাড়িতে আয়কর হানা হয়েছে। সমাজবাদী পার্টির জাতীয় সম্পাদক রাজীব রাইয়ের মৌয়ের বাড়িতে শনিবার হানা দেয় আয়কর আধিকারিকরা। আরও দুই নেতা মনোজ যাদব এবং জৈনেন্দ্র যাদবের বাড়িতেও অভিযান চালানো হয়। ভোটের মুখে এই অতর্কিত হানায় ক্ষুব্ধ অখিলেশ। তোপ দাগলেন বিজেপির বিরুদ্ধে।
আয়কর হানার জেরে রাজীব সাংবাদিকদের বলেন, “ওঁরা তল্লাশি চালাতে এসেছিল। আমি বললাম, তল্লাশি নিন। ওঁরা বলল, বেঙ্গালুরুতেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এটা যদি রাজনৈতিক কারণ না হয় তাহলে কোনটা! আমি কোনও অপরাধ করিনি। আমার রেকর্ড পরিষ্কার। আমার কিছু লুকানোর নেই। আমার কোনও ভয় নেই। আমার উত্তরপ্রদেশের কোনও ব্যবসা নেই। আমার মোবাইল ফোন খুঁজছিল ওরা। আমি ওঁদের চ্যালেঞ্জ করেছি, অন্য জায়গাতেও হানা দেওয়ার জন্য যেখানে অমিত শাহের লোকজন থাকে।”
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে রাজীব রাই ঘোসি কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে লড়েন। কিন্তু জিততে পারেননি। এদিন তিনি নিজের অনুগামীদের শান্ত করেন এবং অনুরোধ করে কোনও স্লোগান না দিতে বাড়ির সামনে। এই আয়কর হানার প্রেক্ষিতে অখিলেশের দাবি, রাজীব রাইকে নিশানা করা হচ্ছে। কারণ, বিজেপি পরের বছর নির্বাচনে হারের ভয়ে এসব করছে।
অখিলেশ বলেন, “আমি আগেও বলেছি, এখনও বলছি, আয়কর আধিকারিকরা কেন এসেছেন। আগামিদিনে ইডি তারপর সিবিআই আসবে, আরও এজেন্সি আসবে।”
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন