আজম খানের পরিবার পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের রামপুর জেলায় তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে সবচেয়ে প্রভাবশালীদের অন্যতম। কিন্তু, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বিজেপি উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় আসার পর থেকে পরিস্থিতিটা সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে। ভাষণে ঘৃণা ছড়ানোর মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে, অনেকে, এমনকি সমাজবাদী পার্টিও (এসপি) ভাবছে যে রামপুর জেলায় আজম খান কি আর আগের মত নিজের প্রভাব বজায় রাখতে পারবেন কি না।
সমাজবাদী পার্টির এই প্রভাবশালী নেতার ছেলে আবদুল্লাহ আজম খান ২০২০ সালেই বিধায়কপদ খুইয়েছিলেন। তারপরে, আজম ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা, ছেলে, স্ত্রী জমি দখল, প্রতারণা এবং অপরাধমূলক অভিসন্ধিতে অনুপ্রবেশের একাধিক মামলায় দীর্ঘদিন জেলে কাটিয়েছেন। চলতি বছরের মে মাসে অবশ্য আজম খান জামিনে জেল থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু, দেখেছেন যে রামপুর তিনি ২০১৯ সালে জিতেছিলেন, সেই রামপুরেই তাঁর দল সমাজবাদী পার্টি হেরে গিয়েছে।
দলটি 2019 সালে রামপুর লোকসভা আসনটি হারাতে পারে যা তিনি জিতেছিলেন। শুক্রবার, আজম উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় তাঁর বিধায়কপদ হারান। ঘৃণাসূচক মামলায় তিনি দোষী সাব্যস্ত হওয়ার একদিন পরই ঘোষিত হয় যে ওই বিধানসভা কেন্দ্রটি ফাঁকা। ফের সেখানে নির্বাচন হবে। এই ঘটনায় বিজেপি স্পিকার সতীশ মাহানার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। পালটা, সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদব বলেছেন যে আজম খান শাসক দলের জন্য 'চক্ষুশূল' হয়ে উঠেছেন। আর, সেই জন্য যোগী সরকার সমাজবাদী পার্টির প্রবীণ নেতাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রান করছে।
আরও পড়ুন- বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলো অভিন্ন দেওয়ানি বিধির পক্ষে, অবিজেপি সরকারকে চাপ দিতে পারে কেন্দ্র?
এই প্রসঙ্গে সমাজবাদী পার্টি তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, 'আজম খান এখন বিজেপি সরকারের নিশানা। প্রতিদিনই মিথ্যা মামলা দিয়ে তাঁকে হয়রান করা হচ্ছে। খান এখন বিজেপির জন্য চক্ষুশূল। কারণ, তিনি সাম্প্রদায়িক শক্তির কট্টর প্রতিদ্বন্দ্বী এবং গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি এমন একজন নেতা, যিনি সংবিধান এবং ধর্মনিরপেক্ষতার জন্য সংগ্রাম করছেন।'
Read full story in English