Advertisment

Speaker elections: বহু দশক পর লোকসভায় স্পিকার নির্বাচন, আগে কবে-কীভাবে হয়েছিল, চটজলদি জেনে নিন

Post-emergency: এবছর কোটার সাংসদ ওম বিড়লাকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। বিরোধীরা কেরলের মাভেলিক্কারা থেকে নির্বাচিত আট বারের সাংসদ কে সুরেশকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Speaker elections, Lok sabha, স্পিকার নির্বাচন, লোকসভা,

Speaker elections-Lok sabha: বামদিকে জিভি মালভাঙ্কর। তিনিই হলেন প্রথম লোকসভায় নির্বাচিত স্পিকার। বামদিকে বিআর ভগত। তিনি জরুরি অবস্থা ঘোষণার পর স্পিকার নির্বাচিত হন। (ছবি: ফটো বিভাগ, ভারত সরকার/এক্সপ্রেস আর্কাইভ)

Speaker elections in first Lok Sabha and post-emergency: স্পিকার ইস্যুতে সরকার এবং বিরোধীদের মধ্যে আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর স্পিকার পদে বিরল নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে সংসদ। নরেন্দ্র মোদী সরকার ১৭তম লোকসভার স্পিকার কোটার সাংসদ ওম বিড়লাকে প্রার্থী করেছে। বিরোধীরা কেরলের মাভেলিক্কারা থেকে নির্বাচিত আট বারের সাংসদ কে সুরেশকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত কয়েক দশকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে লোকসভায় স্পিকার নির্বাচিত হয়েছে।

Advertisment

এর আগে স্পিকার নির্বাচন হয়েছিল ১৯৭৬ সালে
এর আগে স্পিকার নির্বাচন হয়েছিল ১৯৭৬ সালে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন বিআর ভগত ও জগন্নাথরাও যোশী। ১৯৭৫ সালের জুনে জরুরি অবস্থা ঘোষণার পর সংসদের পঞ্চম অধিবেশনের মেয়াদ একবছর বাড়ানো হয়েছিল। পরবর্তীকালে ১৯৭৬ সালে, কংগ্রেস সাংসদ ভগতকে স্পিকার হিসেবে বেছে নেওয়ার প্রস্তাবটি পেশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। তা সমর্থন করেছিলেন সংসদ বিষয়কমন্ত্রী রঘু রামাইয়া। যাইহোক, ভাবনগরের সাংসদ পিএম মেহতা (কংগ্রেস ও-এর সদস্য) জোশীর পক্ষে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন। জনসংঘের সদস্য জোশীকে সমর্থন করেছিলেন হাজিপুরের সাংসদ কংগ্রেস (ও) দলের ডিএন সিং। তৎকালীন ডেপুটি স্পিকার, কক্ষের কার্যাবলির সভাপতিত্বকারী জিজি সোয়েল বলেছিলেন, 'যে সমস্ত প্রস্তাবগুলো পেশ হয়েছে তা যথাযথভাবে সমর্থন করা হয়েছে।' নির্বাচনে ভগত ৩৪৪ ভোট পান। যোশী পান ৫৮ ভোট।

আরও পড়ুন- চলত জোর করে বন্ধ্যাত্মকরণের চেষ্টা! জরুরি অবস্থার নাম শুনলে আজও শিউরে ওঠেন অনেকেই

তার আগে স্পিকার নির্বাচন হয়েছিল ১৯৫২ সালে
১৯৭৬ সালের আগে স্পিকার নির্বাচন হয়েছিল ১৯৫২ সালে। দেশের প্রথম সাধারণ নির্বাচনের পর সংসদে প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু গুজরাটের বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী ও গণপরিষদের প্রাক্তন সদস্য মালভাঙ্করকে স্পিকার নির্বাচিত করার প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন। যা তৎকালীন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী সত্যনারায়ণ সিনহা, দারভাঙ্গার কেন্দ্রীয় সাংসদ এসএন দাস এবং গুরগাঁওয়ের সাংসদ পণ্ডিত ঠাকুর দাস ভার্গব সমর্থন করেছিলেন। উলটোপক্ষে, ভারতের কমিউনিস্ট আন্দোলনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং সংসদের ১৬ জন সিপিআই সাংসদের একজন, কান্নানোরের এমপি একে গোপালান আবার মোরের পক্ষে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন। মার্কসবাদী রাজনৈতিক দল পিজেন্টস অ্যান্ড ওয়ার্কার্স পার্টি অফ ইন্ডিয়া (পিডব্লিউপিআই)-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মোরের স্পিকার পদে প্রার্থী পদকে সমর্থন করেছিলেন বহরমপুরের সাংসদ টিকে চৌধুরী (বিপ্লবী সমাজতান্ত্রিক দলের প্রতিষ্ঠাতা নেতা), মাভেলিক্কারার সাংসদ এনএস নায়ার (ট্রেড ইউনিয়ন নেতা) এবং বসিরহাটের সাংসদ রেণু চক্রবর্তী (সিপিআই)।

bjp CONGRESS Election Lok Sabha Emergency
Advertisment