আচমকা বাঁকবদলের ইঙ্গিত কর্নাটকের রাজনীতি। মঙ্গলবার কংগ্রেস-জেডিএসের বিদ্রোহী বিধায়কদের মধ্যে ৮ জনের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করলেন না স্পিকার। এর আগে এদিন সকালে ইস্তফা দিয়েছিলেন আরও এক কংগ্রেস বিধায়ক। ফলে এদিন সকালে জোট সরকারের বিধায়ক সংখ্যা কমে হয়েছিল ১০৩, যা বিজেপি-র ১০৫-এর থেকে ২ কম। এখন যা পরিস্থিতি, তাতে জোটের পক্ষে সংখ্যা দাঁড়াল ১১১।
এদিন বিদ্রোহী বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলার পরই স্পিকার ৮ জনের ইস্থফা বাতিল করে। তিনি জানান, ওই বিধায়কেরা সঠিকভাবে পদত্যাগপত্র জমা দেননি। স্পিকার আগেই জানিয়েছিলেন, এদিনই তিনি বিদ্রোহী বিধায়কদের পদত্যাগের বিষয়টি দেখবেন। যদি ১৩ বিধায়কের ইস্তফা গৃহীত হত, তাহলে এদিনই কংগ্রেস, জেডিএস জোট সরকার পড়ে যেত।
এদিনই পরিষদীয় দলের বৈঠক ডেকেছিল কংগ্রেস। সেই বৈঠক যখন চলছে, তখনই কংগ্রেসের বহিষ্কৃত বিধায়ক রোশন বেগ ইস্তফা দেন। প্রসঙ্গত, এর আগে ১৩ জন বিধায়ক একযোগে ইস্তফা দেওয়ায় সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে জোট সরকার। সোমবার সরকারের সমর্থক এক নির্দল বিধায়ক তথা মন্ত্রী নাগেশ পদত্যাগ করেছিলেন। এরপর এদিন রোশন ইস্তফা দেওয়ায় সংকট আরও বাড়ল।
তবে এখনই বিদ্রোহী বিধায়কদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেননি স্পিকার রমেশ কুমার। তিনি জানিয়েছেন, প্রত্যেক বিদ্রোহী বিধায়ককে আলাদা আলাদা ভাবে তাঁর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিতে হবে। কেউ যদি প্রমাণ করতে পারেন যে ইস্তফার পিছনে রাজনৈতিক চাপ বা অন্য কোনও অঙ্ক রয়েছে, তাহলে ইস্তফাপত্র গৃহীত হবে না। এরপর কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া স্পিকারকে বিদ্রোহী কংগ্রেস-জেডিএস বিধায়কদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ না করতে আর্জি জানান।
প্রসঙ্গত, যে কোনও মূল্যে সরকার বাঁচাতে মরীয়া দুই দল সোমবার মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী বাদে বাকি সমস্ত মন্ত্রীকে পদত্যাগ করিয়েছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, বিদ্রোহী বিধায়কদের মন্ত্রীসভায় জায়গা দিতেই এই পদক্ষেপ।
তবে কংগ্রেস পরিষদীয় দলের এদিনের বৈঠকেও অস্বস্তির মুখে পড়তে হয়েছে নেতৃত্বকে। রামলিঙ্গ রেড্ডি, অঞ্জলি নিম্বলকর, এস রামাপ্পা, রোশন বেগের মতো পরিচিত নেতারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না। ফলে আপ্রাণ চেষ্টা সত্ত্বেও জোট সরকার টিঁকবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় আরও তীব্র হয়েছে।