মন্ত্রিসভার বৈঠকে যোগ দেওয়ার পরিবর্তে, অজিত পাওয়ার তার সরকারি বাসভবনে মন্ত্রী ও বিধায়কদের সঙ্গে এক বৈঠকের আয়োজন করেন। এ নিয়ে চলছে নানা্ন জল্পনা-কল্পনা।
মহারাষ্ট্র মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারের অনুপস্থিতি এবং তাঁর সরকারি বাংলোতে দলের নেতাদের সঙ্গে তাঁর বৈঠককে কেন্দ্র করে রাজ্যের রাজনীতিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এর মাঝেই মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে এবং উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের হঠাৎ দিল্লি সফর এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক গুজবকে আরও ইন্ধন জুগিয়েছে। মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে অংশ নেননি উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার।
মন্ত্রীসভার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অজিত গোষ্ঠীর অন্য মন্ত্রীরা। পরে এই সমস্ত মন্ত্রীরা দেবগিরিতে অজিত পাওয়ারের সরকারি বাংলোতে যান এবং সেখানে বৈঠক করেন। অন্যদিকে, মন্ত্রীসভার বৈঠকের পরেই মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে এবং উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ হঠাৎ করেই দিল্লি চলে যান। তবে ছগন ভুজবল বলেছেন যে অজিত পাওয়ার গলার সংক্রমণের কারণে মন্ত্রিসভার বৈঠকে যোগ দেননি। তার বাংলোতে ডাকা বৈঠক পূর্বনির্ধারিত ছিল। এর নেতৃত্বে ছিলেন অজিত পাওয়ারের পরিবর্তে দলের জাতীয় কার্যনির্বাহী সভাপতি প্রফুল প্যাটেল। এদিকে ছগন ভুজবলের এই দাবির মধ্যে দাঁড়িয়েও গত কয়েক সপ্তাহে এমন একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে যেখানে অজিত পাওয়ারকে মুখ্যমন্ত্রী শিন্ডেকে এড়িয়ে যেতে দেখা গিয়েছে।
শারীরিক অসুস্থতার কারণে মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে যোগ দেননি মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার। তবে তিনি মুম্বইয়ে তার সরকারি বাসভবনে মন্ত্রী ও বিধায়কদের সঙ্গে এক বৈঠক করেছেন।
এনসিপি (অজিত পাওয়ার গোষ্ঠী) নেতা প্রফুল প্যাটেল, ছগান ভুজবল এবং সঞ্জয় বানসোদেও বৈঠকে অংশ নিতে অজিত পাওয়ারের বাসভবনে এদিন হাজির ছিলেন। অজিত পাওয়ার মন্ত্রিসভার বৈঠকে যোগ না দেওয়ার কারণে অনেক জল্পনা তৈরি হচ্ছে।
দিল্লি পৌঁছেছেন শিন্ডে-ফড়নবিস
এদিকে এর মধ্যে দিল্লি পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে এবং বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিস। যেখানে দুই নেতাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন। এর পর বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে মহারাষ্ট্রে মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ এবং রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।
অজিত পাওয়ার সরকারে যোগ দিয়েছিলেন
এই বছরের জুলাই মাসে, অজিত পাওয়ার ৪০-এর বেশি এনসিপি বিধায়ক নিয়ে সরকারে যোগ দিয়েছিলেন, যার কারণে এনসিপি দুটি দলে বিভক্ত হয়েছিল (অজিত পাওয়ার গোষ্ঠী) এবং (শারদ পাওয়ার শিবির)। মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন অজিত পাওয়ার। একই সঙ্গে মন্ত্রী হয়েছেন আরও ৮ এনসিপি নেতা।
দলীয় প্রতীক নিয়ে শুনানি করবে নির্বাচন কমিশন
দল বিভক্তির পর থেকেই দলের নাম ও প্রতীক নিয়ে উভয় পক্ষই দাবিতে অনড়। বর্তমানে বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের বিবেচনাধীন অবস্থায় রয়েছে। আগামী ৬ অক্টোবর উভয় পক্ষকেই শুনানির জন্য হাজির হতে বলেছে নির্বাচন কমিশন।