হিন্দুত্বের ঠিকাদারি বিজেপির একার নয়। এটা বোঝাতে চলতি বছরের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে আধ্যাত্মিক গুরুকে আসরে নামাল মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেস। মধ্যপ্রদেশ প্রদেশ কংগ্রেস অফিসে ইদানিং হামেশাই দেখা যাচ্ছে রিচা গোস্বামী নামে ৩২ বছর বয়সি এই আধ্যাত্মিক গুরুকে। নির্বাচনকে পাখির চোখ করে মধ্যপ্রদেশজুড়ে প্রচার চালাবেন কংগ্রেস নেতারা। এমনটাই ঠিক হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে রিচা গোস্বামীও সফর করবেন বলেই স্থির করেছে মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেস। আর, সেই সফরে বিভিন্ন মঞ্চে এই আধ্যাত্মিক গুরু ধর্মের নামে 'বিজেপির মুখোশ' খুলে দেবেন। ধর্মের নামে 'বিজেপির প্রতারণা' ফাঁস করে দেবেন।
সেসবের জন্য এখন মধ্যপ্রদেশের বিভিন্ন কংগ্রেস নেতারা নিজেদের এলাকায় রিচার গোস্বামীকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। আধ্যাত্মিক কি তাহলে বিভিন্ন সভায় কংগ্রেসের হয়ে ভোটপ্রার্থনা করবেন? তাঁর দায়িত্ব কী হবে? মধ্যপ্রদেশ প্রদেশ কগ্রেস ভবনে উপস্থিত রিচা সাংবাদিকদের জানান, তিনি কংগ্রেসের হয়ে ভোট চাইবেন না। তাঁর কাজ হল মধ্যপ্রদেশের প্রতিটি এলাকায় রাসলীলা এবং ভগবদকথার প্রচার। আর, সেই রাসলীলা এবং ভগবদকথা প্রচারের ফাঁকে সাদা পোশাক পরা, গলায় রুদ্রাক্ষের মালা পরা ৩২ বছরের ধর্মগুরু নানা উদাহরণ দিতে গিয়ে রাজনীতির প্রসঙ্গ টেনে আনবেন। জনসাধারণকে বোঝানোর চেষ্টা করবেন বিজেপি ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছে। বিজেপির সঙ্গে ধর্ম পালনের কোনও যোগসূত্রই নেই। আর, কংগ্রেসও এটাই চায় যে রিচা গোস্বামী এভাবেই বিজেপির ধর্মীয় রাজনীতির জবাব দিক।
আরও পড়ুন- শিক্ষার বোঝা কমাতে সিলেবাস থেকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় বাদ, কাঠগড়ায় এনসিইআরটি
মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের থেকে বিধায়ক ভাঙিয়ে বিজেপি সরকার গঠনের পরপরই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কমল নাথ 'ধার্মিক এবং উৎসব শাখা' গঠন করেছিলেন। সেই শাখার প্রধান করেছিলেন রিচা গোস্বামীকে। লক্ষ্য একটাই, এর ফলে বিজেপি আর হিন্দুত্ব নিয়ে একচেটিয়া ভাব দেখাতে পারবে না। সেই লক্ষ্যেই এবার তিনি ধীরে-সুস্থে এগিয়ে যাচ্ছেন। রিচা গোস্বামী যে লক্ষ্যের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। কমল নাথের নির্দেশে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এই আধ্যাত্মিক গুরু সফর শুরু করবেন মধ্যপ্রদেশজুড়ে ১০৮টি জায়গায় তাঁর ধর্মীয় অনুষ্ঠান করার কথা। মধ্যপ্রদেশে মোট বিধানসভা আসনসংখ্যা ২৩০। সেই ২৩০টি কেন্দ্রেই যাতে রিচা গোস্বামীর অনুষ্ঠান করা যায়, সেই পরিকল্পনাই নিয়েছেন কংগ্রস নেতৃত্ব।