New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/02/Amit-Shah.jpeg)
অমিত শাহ। এক্সপ্রেস ফাইল ফটো
দলের ডিজিটাল মাধ্যমের কর্মীরা কীভাবে লক্ষ্যপূরণ করবেন তারও রূপরেখা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
অমিত শাহ। এক্সপ্রেস ফাইল ফটো
বঙ্গবাসীর মনে বিজেপির কার্যকলাপ পৌঁছে দিতে ডিজিটাল প্রচারকে আরও পোক্ত করার নির্দেশ দিলেন অমিত শাহ। দলের ডিজিটাল মাধ্যমের কর্মীরা কীভাবে লক্ষ্যপূরণ করবেন তারও রূপরেখা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার 'মোদী পাড়া' নামক একটি অ্যাপের সূচনা করেন শাহ। শাহ বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে ২০০-র বেশি আসন জয়ে বিজেপির সোশাল মিডিয়া সেলের কর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হবে। ঘন্টায় ৫০ লক্ষ মেসেজ ছড়ানোর লক্ষমাত্রা নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে জাল বুনতে হবে।
'মোদী পাড়া' অ্যাপের সূচনা অনুষ্ঠানে বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ বলেন, 'ভোটে বিজেপির সাফল্যের পর বেশিরভাগ রাজনৈতিক বিশ্লেষকই মমতা সরকারের ত্রুটিগুলোর কথা তুলে ধরবেন। কিন্তু, আমি চাই বিজেপির সাইবার যোদ্ধাদের পরিশ্রম দলের জয়ে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠুক। ইতিহাসের পাতায় আপনাদের থাকুক।'
আরও পড়ুন- ক্ষমতায় এলে বাংলার কৃষকদের ১৮ হাজার টাকা দেওয়ার ঘোষণা শাহের
মোদীপাড়া অ্যাপ হল বিজেপি কর্মকর্তা এবং সমর্থকদের জন্য একটি সর্ব বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন ডিজিটাল কনটেন্ট এবং হাব। পার্টির কার্যকর্তা, সদস্য, সমর্থক এবং ভোটার এই অ্যাপের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারের সাম্প্রতিক কাজ, সর্বভারতীয় এবং পশ্চিমবঙ্গের বিজেপির কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অবগত থাকতে পারবে। ফেসবুক, হোয়্যাটসএপ এবং টুইটারের মত সোশ্যাল মিডিয়ায় এই মোদীপাড়া অ্যাপের বিষয়গুলি শেয়ার করতে পারবে। পদ্ম শিবিরের সমর্থকরা এই অ্যাপের মাধ্যমে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মানুষদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারবেন। এই অ্যাপের মাধ্যমে বাড়ি থেকেই সব মানুষকে নানান কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে। এই অ্যাপটি ওয়ান স্টপ প্লাটফর্ম হয়ে উঠবে যার মাধ্যমে বিজেপি কার্যকর্তা এবং সমর্থকরা সমষ্টিগতভাবে দলের বার্তা পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি এলাকায় ছড়িয়ে দিতে সমর্থ হবেন।
সোশাল মিডিয়া কর্মীরা কীভাবে কাজ করবেন তারও বিস্তারিত বিবরণ দেন অমিত শাহ। তাঁর নির্দেশ, 'চারটি দল গড়তে হবে। একটি দল রাজনৈতিক বিশ্লেষণ করবেন। অন্য একটি দল কনটেন্ট তৈরি করবে। তৃতীয় দল ওইগুলো সোশাল প্ল্যাটফর্মে ছাড়বে। চতুর্থ দল মানুষের কাছ থেকে প্রতিক্রিয়া জানবে।' স্থানীয় ইস্যু, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নানা দিক ও রাজনৈতিক হিংসার বিরোধিতা করে কনটেন্ট তৈরির কথা বলেছেন শাহ। সোশাল মিডিয়ায় দলের প্রচারে ইস্যুভিত্তিক কার্টুন ব্যবহারের কথা তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়াও, দলের সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী সহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের টুইট, ফেসবুক পোস্ট যাতে মানুষের কাছে পৌঁছানো যায় সেদিকে নজর দিতে হবে। ম্ডল থেকে সাংগঠনিক জেলায় হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ বাড়ানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন