Advertisment

২০১৯-এ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাহুলেই আস্থা, স্টালিনের মন্তব্যে বিস্মিত বিরোধীরা

জোট সরকার চালানোর ব্যাপারে 'কালাইনার' করুণানিধির উপর যে তাঁরা ভরসা করতেন, সে কথা অকপটে স্বীকার করেছেন সনিয়াও। একই সুরে রাহুল বলেন, ভারতের প্রতিষ্ঠানগুলিকে বাঁচানোর চেষ্টা করতেন করুণানিধি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

চেন্নাইয়ে করুণানিধির মূর্তি উন্মোচন অনুষ্ঠানে

'বিজেপি-র নেতৃত্বে গঠিত ফ্যাসিবাদী' এনডিএ সরকারকে উৎখাত করতে সনিয়া-পুত্রেই আস্থা রাখছেন করুণানিধি-পুত্র স্টালিন। ২০১৯-এর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাহুল গান্ধীর নাম প্রস্তাব করেছেন স্টালিন। রবিবার দলের প্রধান দফতরে করুণানিধির মূর্তির আবরণ উন্মোচন অনুষ্ঠানে এই প্রস্তাব দেন তিনি।

Advertisment

রবিবারের সভায় ডিএমকে প্রধান বললেন,  "দিল্লিতে নয়া প্রধানমন্ত্রী আনার আর্জি জানাচ্ছি। এবং এ জন্য তামিলনাড়ুর সমর্থন রাহুল গান্ধীর দিকেই। ফ্যাসিস্ট মোদী সরকারকে হারানোর পূর্ণ যোগ্যতা ওঁরই রয়েছে। এনডিএ সরকার গত পাঁচ বছরে আমাদের ১৫ বছর পিছিয়ে নিয়ে গিয়েছে। আবার ওরাই ক্ষমতায় এলে পঞ্চাশ বছর পিছিয়ে যাব আমরা"।

আরও পড়ুন, রাম মন্দির নিয়ে অর্ডিন্যান্সে সায় নেই জেডিইউয়ের!

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্পর্কে স্টালিনের বক্তব্য, "উনি নিজেকে সম্রাট মনে করেন। উনিই আরবিআই, উনিই সিবিআই, আয়কর দফতর, উনিই সব। দেশ থেকে মোদীকে তাড়ানোর জন্য নয়, দেশের মানুষকে বাঁচানোর জন্য আমরা বিরোধীরা একজোট হয়েছি।"

সাম্প্রতিক সাইক্লোনের পর প্রধানমন্ত্রীর তামিলনাড়ু পরিদর্শনে না যাওয়া নিয়ে তীব্র সমালোচনা করে স্টালিন বলেছেন, "তামিলনাড়ু কি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য নয়? মার্কিন মুলুকে ২০১৬-র জুন মাসে যখন সাধারণ মানুষের ওপর গুলি বর্ষণ হয়েছিল, নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে টুইট করতে পেরেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। অথচ নাগাপট্টিনম, পাড়ুকোট্টাইতে যখন সাইক্লোন হয়, তিনি একবারের জন্যেও মুখ খোলেন না। এখন পর্যন্ত ২১ টি দল বিজেপি- বিরোধী জোটে নাম লিখিয়েছে। আরও দল আমাদের সঙ্গে যোগ দেবে।"

জোট সরকার চালানোর ব্যাপারে 'কালাইনার' করুণানিধির উপর যে তাঁরা ভরসা করতেন, সে কথা অকপটে স্বীকার করেছেন সনিয়াও। একই সুরে রাহুল বলেন, ভারতের প্রতিষ্ঠানগুলিকে বাঁচানোর চেষ্টা করতেন করুণানিধি। কিন্তু কেন্দ্রের মোদী সরকার তামিলনাড়ু তো বটেই, গোটা দেশের মত, সংস্কৃতি, প্রতিষ্ঠান সব কিছুর উপর আঘাত হানছে। আমরা সুপ্রিম কোর্ট, আরবিআই, নির্বাচন কমিশনের মতো প্রতিষ্ঠানের এহেন পরিণতি মেনে নেব না। একসঙ্গে লড়ব আর বিজেপিকে হারাব।"

Read the full story in English   

rahul gandhi lok sabha 2019
Advertisment