এবার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার অন্তর্ভুক্ত করা হল রাজ্য বিজেপি সভাপতি। এখন থেকে সুকান্ত মজুমদারের সুরক্ষায় থাকবে সিআইএসএফ বাহিনী। প্রায় ৩৫ জন জাওয়ান থাকবেন বাবলুরঘাটের সাংসদের সুরক্ষার দায়িত্বে। তবে প্রতিনিয়ত তাঁর সঙ্গে থাকবেন ১৫ জন করে জওয়ান।
জানা গিয়েছে, এখনই নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকা সব কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা শহরের এসে পৌঁছাতে পারেননি। বিজেপি সূত্রে খবর রবিবারের মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সম্পূর্ণ দল সুকান্ত মজুমদারের নিরাপত্তায় থাকবেন।
বালিরঘাটের বিজেপি সাংসদজ সুকান্ত মজুমদার। সাংসদ হিসেবে এতদিন 'ওয়াই প্লাস' ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পেতেন তিনি। কিন্তু, তাঁকে রাজ্য বিজেপি সভাপতি হিসাবে বেছে নিয়েছে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বাংলায় তাঁর গুরু দায়িত্ব। ফলে সুকান্তবাবুর সুরক্ষা বাড়নো হল।
উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহেই ভবানীপুরের উপনির্বাচনের জন্য বিজেপি প্রার্থীর হয়ে প্রচারে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় তাঁকে প্রচার চালাতে দেওয়া হয়নি। করোনা-বিধির যুক্তি দিয়ে গেরুয়া শিবিরকে আটকে দিয়েছিল পুলিশ। এরপর রাজ্য বিজেপি সভাপতির নেতৃত্বেই দলীয় নেতার মৃতদেহ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল বিজেপি। পুলিশ বাধায় তা ঠেকানো গেলেও, আইন রক্ষকদের সঙ্গে সুকান্ত মজুমদারদের ধস্তাধস্তি হয়। রাস্তা থেকে সুকান্ত মজুমদারকে ওঠাতে টানাহেঁচরা করতে দেখা যায় পুলিশকে। এই ধরণের বাধা আরও আসবে বলেই মনে করছে বিজেপি। এরপরই রাজ্য বিজেপি সভাপতির নিরাপত্তা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত জানা গেল।
এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি সভাপতি বলেন, 'স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক মনে করছে আগামী গিনে আমার প্রাণের ঝুঁকি রয়েছে। তাই নিরাপত্তা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত। তবে এতজন জাওয়ান সবসময় ঘিরে থাকবে ভেবেই একটু অস্বস্তি হচ্ছে।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন