আজ জলপাইগুড়িতে রাজ্য কংগ্রেসের ডাকে জলপাইগুড়ি জেলাশাসকের দপ্তরে আইন অমান্য ছিলো। উপস্থিত ছিলেন হাজার দুয়েক কংগ্রেস কর্মী। নেতৃত্বে ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সোমেন মিত্র, বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান, বিশিষ্ট কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য, যুব নেতা রোহন মিত্র, দেবপ্রসাদ রায়, জলপাইগুড়ি জেলা কংগ্রেসের সভাপতি নির্মল ঘোষ দস্তিদার, জলপাইগুড়ি বিধায়ক সুখবিলাস বর্মা, প্রদেশ কংগ্রেস সদস্য অমিত ভট্টাচার্য প্রমুখ।
সোমেন মিত্রর নেতৃত্বে প্রথমে ব্যারিকেড ভেঙে এসপি অফিস পার হয়ে জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে সভা করেন বিক্ষোভকারীরা। এরপর কংগ্রেস কর্মীরা দ্বিতীয় ব্যারিকেড ভাঙেন। শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধস্তি। এরপর ডিএসপি (ডিআইবি) রাজীব ভট্টাচার্য সবাইকে ১৫১ ধারায় গ্রেফতার করার ঘোষণা করেন এবং মুক্তি দেওয়ার কথাও বলেন।
আরও পড়ুন: আপাতত গন্ডিতেই আটকে রইলেন হলদিয়ার দলহীন লক্ষ্মণ
পরে জলপাইগুড়ি সার্কিট হাউসে সাংবাদিক সম্মেলনে সোমেনবাবুর কাছে সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিলো, গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এবারের ব্রিগেড অতীতের সব ব্রিগেডেকে ছাপিয়ে যাবে। এমনকী জ্যোতি বাবুর ব্রিগেডকেও ছাপিয়ে যাবে। আপনার প্রতিক্রিয়া কী?
উত্তরে সোমেনবাবু বলেন, "মমতা জ্যোতিবাবুর অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত। তাই একথা বলছেন। এত নেতা ব্রিগেডে সভা করেছেন, কারো নাম না নিয়ে জ্যোতিবাবুর নামই নিলেন? তাই বলছি, যাঁরা সেদিন জ্যোতিবাবুর সভায় ছিলেন, তাঁদের মধ্যে ইন্দিরা হত্যায় জড়িত লোকেরাও ছিলো। আবার উনি ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুদিনে ঘটা করে চোখের জল ফেলেন।"
এরপরের প্রশ্ন ছিলো, কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি আসছেন ব্রিগেডে, সেক্ষেত্রে আপনারা কী ভাবছেন? সোমেনবাবুর জবাব, "আমরা আমন্ত্রিত নই, তাই আমরা যাব না। তবে জাতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে কিছু বাধ্যবাধকতা আছে। আমরা কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করব না।"