আগামী ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা ও হাওড়া পুরসভার ভোট করতে চাইছে রাজ্য সরকার। এমনকী রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে এই মর্মে চিঠি দিয়েছে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। সূত্রের খবর, রাজ্যের প্রস্তাবে রাজি কমিশন। পরিস্থিতির বড় কোনও বদল না হলে ভোট করাতে প্রস্তুত রাজ্য নির্বাচন কমিশন। অর্থাৎ গঙ্গার পূর্ব পশ্চিমের দুই বৃহৎ ও প্রাচীন শহরে আগামী মাসেই ফের ভোটের দামামা বাজতে চলেছে।
কমিশনের তরফে খবর, কালীপুজো, ভাইফোঁটার পরই কলকাতা ও হাওড়া পুরনিগমের ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি হতে পারে। কলকাতায় ১৪৪টি ও হাওড়ার ৬৬টি পুর আসনে ভোট হবে ইভিএমেই। নবান্নের ইচ্ছা অনুযায়ী ২২ ডিসেম্বর হবে পুরভোটের গণনা।
রাজ্য বিজেপি সভাপতির দাবি, 'দুই বড় শহরে পুরভোটেও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকুক কেন্দ্রীয় বাহিনী। না হলেই ভোট লুঠ করবে তৃণমূল। ভোট অবাধ হলে এই দুই শহরেরই জিতবে বিজেপি প্রার্থীরা।'
কিন্তু শুধু এই দুটি পুরসভার নির্বাচন কেন? নবান্ন সূত্রে খবর, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে ভোট পিছিয়েছে। ওইসব পুরসভায় ধাপে ধাপে পুরসভা নির্বাচন করতে চায় রাজ্য সরকার। রাজ্যের বাকি পুরসভাগুলির ভোট জানুয়ারিতে ৩-৪ দফায় করার প্রস্তাব কমিশনকে দিতে পারে নবান্ন। উল্লেখ্য, বর্তমানে রাজ্যে এখন ১১৪টি পুরসভার ভোট বাকি রয়েছে। প্রতিটি জায়গাতেই প্রশাসকরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
উৎসবের মরশুম শেষ হলেই পুরসভার নির্বাচন করা হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিয়ম অনুযায়ী, পুরসভা এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করে রাজ্য সরকার। তারপর রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনার প্রেক্ষিতে নির্ঘন্ট চূড়ান্ত হয়ে থাকে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন