লোকসভা ভোটের আগে একবার বড় ইস্যু হিসেবে খবরে শিরোনামে এসেছিল রাফালে সামরিক চুক্তি। যদিও সেই ইস্যুকে হাতিয়ার করেও গত সাধারণ নির্বাচনে বিজেপিকে বেগ দিতে পারেনি কংগ্রেস-সহ অন্যরা। কিন্তু দুই বছর পর ফরাসি এক জার্নালের প্রকাশিত প্রতিবেদন ঘিরে ফের রাফালে চুক্তি নিয়ে তপ্ত হল কেন্দ্রীয় রাজনীতি। তেড়েফুঁড়ে আসরে কংগ্রেস এবং মোদী সরকার।
ফরাসি জার্নালে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে দাবি, এই চুক্তি বাস্তবায়িত করতে ১.১ মিলিয়ন ইউরো ঘুষ দেওয়া হয়েছে এক মধ্যস্থতাকারীকে। যদিও খাতায় কলমে রাফালে উৎপাদক সংস্থা দ্যাসল্ট অ্যাভিয়েশন সেটাকে ‘কমিশন’ বা ‘উপহার’ বলে উল্লেখ করেছে। এরপরেই তড়িঘড়ি সাংবাদিক বৈঠক করে মোদী সরকারের ওপর চাপ বাড়ায় কংগ্রেস।
দলের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, ‘এযাবৎকাল রাহুল গান্ধী রাফালে চুক্তি নিয়ে যে বেনিয়মের অভিযোগ তুলেছে সেটা সত্যি’ তাঁর দাবি, ‘ফরাসি দুর্নীতি দমন শাখার তদন্তেও সেই বিষয়টার উল্লেখ রয়েছে। ২০১৬ সালে দ্যাসল্ট ডেফসিস সল্যুশন নামে এক ভারতীয় সংস্থাকে ১.১ মিলিয়ন ইউরো ঘুষ দিয়েছিল। এই সংস্থা রাফালে চুক্তি বাস্তবায়নে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেছিল। এখন কী প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে জবাব দেবেন। নিরপেক্ষ তদন্ত করে দেখে হবে মোট কত টাকার ঘুষের বিনিময়ে এই চুক্তি বাস্তবায়িত হয়েছিল। কত টাকা পেয়েছে দেশের সরকার?‘
যদিও কংগ্রেসের এই অভিযোগকে মান্যতা দিতে নারাজ মোদী সরকার। মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেছেন, ‘লোকসভা ভোটের আগে এই চুক্তিকে ইস্যু করে নির্বাচনে হেরেছে কংগ্রেস। যে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে সেটা ফ্রান্সের প্রতিপক্ষ দুই সংস্থার আকচাআকচির ফলপ্রসূ। সেই রিপোর্টে সুশেন গুপ্তা নামে এক মধ্যস্থতাকারীর নাম আছে। অগাস্টা ওয়েস্টল্যান্ড-কাণ্ডে যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাফালে চুক্তি কংগ্রেস আমলে সঠিক দিশা পেলে আমরা বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকে সুবিধা পেতাম। যদিও কংগ্রেস বালাকোট আর উরির সময় প্রমাণ চেয়েছিল। আমাদের সামরিক বাহিনীর নৈতিকতা এভাবে খারাপ করতে পারে না কংগ্রেস।‘