রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা অন্তত ২১ জন দলীয় কর্মী খুন হয়েছেন। ১৫ হাজার হিংসার ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করলেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে দিলীপ আরও বলেন, "রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার ৭ হাজার ঘটনার তথ্যপ্রমাণ-সহ তালিকা তৈরি করতে পেরেছি আমরা। কিন্তু আমাদের বিশ্বাস, ১৫ হাজারেরও বেশি হিংসার ঘটনা ঘটেছে। যেগুলির তথ্য পাওয়া যায়নি।"
তাঁর দাবি, ২ মে ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকে হিংসার ঘটনায় কমপক্ষে ২১ জন বিজেপি কর্মী খুন হয়েছেন। মনোজ জয়সোওয়াল নামে ২১ বছরের এক কর্মী নিহতদের তালিকায় শেষ সংযোজন। বৃহস্পতিবার বীরভূমের নলহাটিতে তাঁকে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা খুন করে বলে দাবি দিলীপের। এদিকে, এদিনই বাঁকুড়ায় আক্রান্ত হন বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার।
নিজের নির্বাচনী ক্ষেত্রের কৃষকদের সঙ্গে ইদ পালনের জন্য যাচ্ছিলেন সুভাষ সরকার। অভিযোগ, সেইসময় কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোঁড়ে। অল্পের জন্য জখম হওয়া থেকে বেঁচে যান তিনি। কিন্তু গাড়ির পিছনের কাচ চুরমার হয়ে যায় পাথরের আঘাতে। বিজেপি সাংসদের দাবি, "তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই হামলার নেপথ্যে রয়েছে।" তিনি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
যদিও সুভাষ সরকারের অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল সভাপতি শ্যামল সাঁতরার পাল্টা অভিযোগ, "এলাকার মানুষের দাবিদাওয়া পূরণ করেননি সাংসদ। মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। তৃণমূল এর সঙ্গে জড়িত নয়।"