তৃণমূলের প্রার্থীর মহিলা এজেন্টকে শ্লীলতাহানির দায়ে রাসবিহারিতে আটক বিজেপির এজেন্ট। যদিও পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম মোহন রাও। তিনি বিজেপির এক্স আর্মি সংগঠনের আহ্বায়ক। এভাবে দলের এক নেতা আটক হওয়ায় রীতিমতো হইচই পড়ে যায় রাসবিহারী বিধানসভা এলাকায়।
যদিও বিজেপির অভিযোগ, ‘নিউ আলিপুর এলাকার বিদ্যাভারতী স্কুল ক্যাম্পাসে ভোটারদের সন্ত্রস্ত করছিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। শাসানো হয় বাহিনীকেও। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান বিজেপি প্রার্থী সুব্রত সাহার এজেন্ট মোহন রাও। পোলিং এজেন্টের সঙ্গে বচসা বাধে তাঁর। উত্তেজনা তৈরি হয় বুথের মধ্যে। এই সময়েই তাঁর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ আনে তৃণমূলের এজেন্ট।‘ এরপরেই পুলিশ তাঁকে আটক করে নিয়ে যায়।
তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোটারদের প্রভাবিত করছিল। কোভিড বিধি না মানারও অভিযোগ ওঠে।‘ তবে, সেই অভিযোগ নিয়ে প্রশাসনের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। বিজেপি দক্ষিণ কলকাতার সভাপতি ছিলেন মোহন রাও। দীর্ঘদিন গেরুয়া শিবিরে প্রত্যক্ষ ভাবে কাজ করার ফলে এলাকায় তিনি চেনামুখ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় স্বাভাবিক ভাবেই নড়েচড়ে বসে বিজেপি। শ্লীলতাহানির মতো গুরুতর এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে গেরুয়া শিবিরের তরফে।
এদিকে, সপ্তম দফার ভোটে বিক্ষিপ্ত অশান্তি ছাড়া মোটের ওপর শান্ত দক্ষিণ কলকাতার ৪ বিধানসভার ভোটগ্রহণ। যদিও এদিন সকালেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন রাসবিহারীর তৃণমূল প্রার্থী দেবাশিস কুমার। দেবাশিসবাবুর অভিযোগ, ‘তাঁর বুথে ঢোকা নিয়ে আপত্তি তোলে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তিনিও পাল্টা প্রশ্ন করেন, কেন প্রার্থী বুথে যেতে পারবে না?’ কেন্দ্রীয় বাহিনী তাঁকে পরামর্শ দিয়েছে বুথে না ঢুকে, দরজায় দাঁড়িয়েই এজেন্টের সঙ্গে কথা বলতে। বচসা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। দেবাশিস কুমার বাহিনীর কথাই মেনে নেন।