হেভিওয়েট নন্দীগ্রামে দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ সকাল থেকে শান্তিপূর্ণ। যদিও বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর পাওয়া গিয়েছে কয়েকটি এলাকায়। তার মধ্যে অন্যতম বয়ালের একটি বুথ। সেই বুথে তৃণমূলের এজেন্টকে বসতে না দেওয়ার অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের। ঘটনা ঘিরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। শেষপর্যন্ত পুলিশ কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে ওই তৃণমূল বুথ এজেন্টের বাড়ি পৌঁছে নিরাপত্তার আশ্বাস দেয়। কিন্তু সেই তৃণমূল কর্মী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের চোখে-মুখে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। এতটাই আতঙ্ক যে, তৃণমূল কর্মীকে বুথে পাঠাতে অস্বীকার করেন মা। রীতিমতো হাত জোর করে ঘর থেকে বেরিয়ে এসে কেন্দ্রীয় পুলিশের অনুরোধ প্রত্যাখান করেন সেই মহিলা।
জানা গিয়েছে, পরিস্থিতি সামাল দিতে তৃণমূলের এজেন্টকে নিয়ে যেতে পুলিশ সেই বাড়িতে যায়। সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানও। কিন্তু অশান্তির আশঙ্কায় এলেন না তৃণমূলের এজেন্ট। পুলিশ তাঁর বাড়িতে গিয়ে নিরাপত্তা আশ্বাস দেয়। কিন্তু ওই এজেন্টের মা বলেন, ‘এখন তো নিরাপত্তা থাকবে। এরপর তো সবাই চলে যাবে। তখন আমাদের কী হবে! এখানেই তো বসবাস করতে হবে।‘
সংবাদমাধ্যমের সামনে হাত জোর করে কাতর আর্তি করে তৃণমূলের ওই এজেন্টের মায়ের অভিযোগ, ‘তাঁর ছেলে-সহ পরিবারকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, ছেলেকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে।‘
ওই তৃণমূল এজেন্টের মায়ের অভিযোগ কার্যত বিজেপির বিরুদ্ধে। কান্নায় ভেঙে পড়ে সন্ত্রস্ত মা হাতজোড় করে বললেন, ‘যেতে দেব না ছেলেকে’। তৃণমূলের ওই এজেন্টের মায়ের আর অভিযোগ, ‘অনেক আগে থেকেই তাঁর ছেলেকে বাড়িতে ঢুকে মারধর করা হয়েছে। বাড়ি ভাঙচুরের হুমকি দেওয়া হয়েছে। রান্নাঘরটা ভেঙে দিয়ে গেছে।‘
উল্লেখ্য, এদিন ভোট দিয়ে বেরিয়ে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, ‘বেগম হারছে, বিকাশ জিতছে। তৃণমূলের তো এজেন্টই নেই।৭০-৮০ টি বুথে ওরা তো এজেন্টই দিতে পারেনি'।
নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী আর বলেন, 'দিদি হার গয়া। পরাজয়ের মার্জিন বলা ঠিক নয়। তবে আগেই বলেছিলাম, বিজেপি ৫০ হাজার ভোটে জিতবে। নন্দীগ্রামের মানুষের সঙ্গে আমার দীর্ঘ সম্পর্ক। সকলের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক।' এই ঘটনার ব্যাপারেও নির্বাচন কমিশন রিপোর্ট তবল করেছে বলে জানা গেছে।