শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথে ঠিক কী হয়েছিল ১০ এপ্রিল? যার জেরে গ্রামবাসীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে বাধ্য হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। প্রাণ হারায় ৪ জন। সেই ঘটনার প্রায় ৫ দিন পর একটা ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেই ভাইরাল ভিডিওকে হাতিয়ার করেই বিজেপির বিরুদ্ধে ফের পথে নেমেছে তৃণমূল। দলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন সেই ভিডিও ট্যুইট করেছে। যদিও ভাইরাল হওয়ার ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা।
ওই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, উত্তেজিত জনতার জমায়েত, গুলির আওয়াজ, আর্তচিৎকার এবং রক্তাক্ত অবস্থায় কয়েকজনকে পড়ে থাকতে। গুলি চালানোর বিষয়ে নির্বাচন কমিশন, পুলিশ, কেন্দ্রীয় বাহিনীর ‘ব্যাখ্যা’কে খোঁচা দিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘প্রতিটি সত্য প্রকাশ্যে এল। একে অপরকে বাঁচানোর ষড়যন্ত্র পরাস্ত হল। প্রমাণিত হল, গ্রামবাসীরা সরকারি কর্মীদের কোনও ক্ষতি করেননি। পরবর্তী সরকারের উপর ভরসা রাখুন। সকলকে শাস্তি দেওয়া হবে। যিনি, যত বড়ই হোন না কেন’।
দেখুন সেই ভিডিও ( স্ট্রিমিং সময় ৫ ঘণ্টা):
তিনি আরও লেখেন, ‘ভিডিও ফুটেজে নির্বাচন কমিশন, মোদী-শাহের ভূমিকা প্রকাশ্যে এল। শীতলকুচি আসলে ঠাণ্ডা মাথায় নিরীহ নাগরিকদের খুন।‘ ভিডিয়োতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান এবং গ্রামবাসীদের ছোটাছুটি করতে দেখা গিয়েছে। উত্তেজিত গ্রামবাসীরা কেন্দ্রীয় বাহিনীর দিকে তাড়া করে যাচ্ছেন দেখা গিয়েছে। উত্তেজিত পুরুষ এবং মহিলাদের বড় অংশের হাতেই রয়েছে লাঠি এবং বাঁশ।
একই ভাবে গুলির আওয়াজ শোনা গেলেও সরাসরি কোনও সিআইএসএফ জওয়ানকে গুলি চালাতে দেখা যায়নি। তবে মাটিতে পড়ে থাকা রক্তাক্ত দেহ ঘিরে গ্রামবাসীদের একাংশ গুলি করে মারার অভিযোগ করছেন বলে শোনা গিয়েছে। পাশাপাশি, গ্রামবাসীদের একটি সরকারি বাড়ি ভাঙচুর করতে দেখা যাচ্ছে ভিডিয়োতে। ওই বাড়িটিই শীতলখুচি বিধানসভার ১২৬ নম্বর বুথ বলে দাবি করা হচ্ছে। তবে আসল ঘটনা ঠিক কী হয়েছিল, ভিডিও খতিয়ে স্পষ্ট হয়নি। এমনটাই দাবি করছে বিজেপি শিবির।