বিকৃত মুখ এবং মাথায়-ঘাড়ে আঘাতের চিহ্ন-সহ এক যুবকের দেহ উদ্ধার খেজুরিতে। আর এই ঘটনাকে ঘিরে ভোটগ্রহণের প্রায় এক সপ্তাহ পর দিনভর উত্তপ্ত থাকল পূর্ব মেদিনীপুরের এই বিধানসভা। যদিও বিজেপির দাবি, মৃত যুবক তাঁদের কর্মী। ভোটের দিনকয়েক আগে শিবির বদলের রাগ থেকেই তাঁকে পিটিয়ে খুন করেছে তৃণমূল। অভিযোগ, গতকাল গভীর রাতে ফোন করে ডেকে নিয়ে গিয়ে যাওয়া হয়েছিল সন্তু বাড়ুই নামে বছর তেইশের ওই যুবককে। এদিন সকালে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
এদিন ভোরে ওই যুবকের দেহ উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। সেখানে তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তির দাবিও জানান তাঁরা। মৃতের পরিবারে সদস্যরা জানিয়েছেন, গতকাল তাঁদের বাড়ির পাশে পুজো হচ্ছিল। রাত তিনটে নাগাদ ফোন করে সন্তুকে ডেকে পাঠায় একজন। তখনই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় সে। এরপর আর বাড়ি ফেরেননি। বিজেপির অভিযোগ, ‘তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই খুন করেছে ওই যুবককে। প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহ ফেলে যাওয়া হয়েছে মাঠে।‘
এদিন সকালে যুবকের মৃতদেহ তুলতে পুলিশকে বাধা দেয় স্থানীয় মানুষরাই। উত্তেজিত জনতার বাধায় দীর্ঘক্ষণ মাঠেই পড়ে থাকে মৃতদেহ। ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছিল গোটা এলাকায়! আর এসবের মধ্যেই যুবকের মৃত্যু নিয়ে ফের তৃণমূলের বিরুদ্ধে খুনের রাজনীতির অভিযোগ নিয়ে আসরে বিজেপি! দলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অনুপ চক্রবর্তীর দাবি, 'মৃত যুবক আমাদের সমর্থক। তাঁকে রাজনৈতিক উদ্দেশে খুন করেছে তৃণমূল।' যদিও ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই বলে দাবি করেছেন খেজুরির তৃণমূল নেতা পার্থপ্রতিম দাস।
উলটে তৃণমূলের তরফে বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দলের দিকেই আঙুল তোলা হয়েছে।