সোমবার পান্ডুয়ার সভা করেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি প্রথম থেকেই বিজেপির প্রতি আক্রমণাত্মক ছিলেন। তাঁর কটাক্ষ, ‘"হরিচাঁদ ঠাকুরকে বলছে হরিশচন্দ্র ঠাকুর। সহজ পাঠ কে লিখেছেন, জানে না। রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব কে, জানে না। লকডাউন-আমফানের সময় বিজেপির সাংসদকে দূরবীন দিয়ে খুঁজে পেয়েছিলেন? এখন বিজেপির সর্বভারতীয় নেতারা ডেইলি প্যাসেঞ্জারি শুরু করে দিয়েছেন একটা মহিলাকে সরাবেন বলে। যারা বাংলার মানুষের জন্য কখনোই ভাবতেন না, তারা এখন ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করছেন। সব রাজনৈতিক দল বলছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাতে হবে, কিন্তু বাংলার মানুষ বলছেন তৃতীয়বার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই আনতে হবে"
তাঁর তোপ, ‘সিপিএম বলছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাতে হবে, কংগ্রেস বলছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাতে হবে। বিজেপি বলছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাতে হবে।‘
তাঁর দাবি, ‘আমার পিছনে যতই লাগুন, আমার গলা কেটে নিলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ বেরোবে। এটা বাংলার মাটি গুজরাত নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলা ছাড়া করতে গিয়ে ২৪শে আপনারা ভারত ছাড়া হবেন লিখে নিন। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা, জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভরসা। কোনও বিকল্প নেই।‘
তাঁর চ্যালেঞ্জ, ‘উন্নয়নের নিরিখে লড়াই করতে প্রস্তুত। কোন সংবাদমাধ্যমে বসবেন বলুন।সিবিআই, ইডি দিয়ে দমিয়ে রাখার চেষ্টা। আমার জন্য এত কিছু করতে হবে না। আমার বিরুদ্ধে একটা দুর্নীতি প্রমাণ করুন তথ্য-প্রমাণ দিয়ে। আপনাদের সামনে বলে গেলাম একটা ফাঁসির মঞ্চ তৈরি রাখুন আমি নিজে এসে মৃত্যুবরণ করব।‘
এদিকে, দলের ঝগড়ুটে মহিলাদের বুথ এজেন্ট করব। চুঁচুড়ায় সাফ জানালেন তৃণমূল সুপ্রিমো। দ্বিতীয় দফার ভোটে বিজেপির চোখরাঙানির ভয়ে নন্দীগ্রামে অনেক বুথে এজেন্ট দিতে পারেনি তৃণমূল। পয়লা এপ্রিল দিনভর এই অভিযোগ করে এসেছে শাসক দল। সোমবার তৃতীয় দফা ভোটের আগে চুঁচুড়া থেকে ফের একবার দলের গদ্দার-মীরজাফরদের আক্রমণ করে নেত্রীর নির্দেশ, ‘কোনও পরিস্থিতিতে বুথ ছেড়ে পালানো যাবে না। বিজেপি বা তাদের মিলিটারি ভয় দেখাচ্ছে, সন্ত্রাস করছে, এই সব বলে বুথ ছেড়ে পালাবার কোনও বাহানা চলবে না।’
একই সঙ্গে মমতা বলেন, ‘অন্যরা না বসলে আমরা আমাদের কন্যাশ্রীদের বসাব। যাঁরা বঙ্গজননী করেন, তাঁদের এজেন্ট করা হবে। সে রকম হলে দলের ঝগড়ুটে মহিলাদের সব বুথে এজেন্ট করে দেব। দেখি সাহস কত!’