এরাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরনোর পর তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি ও কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়। তারপর একে একে আরও তিন বিধায়ক বিজেপি ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে ভিড়েছেন। সম্প্রতি সবাইকে অবাক করে আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়ও তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জে দলীয় প্রার্থী আমিরুল ইসলামের প্রচারে গিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'দরজা বন্ধ করে রেখেছি। তা নাহলে এরাজ্য থেকে বিজেপি পার্টিটাই উঠে যেত।'
ভবানীপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচনের সঙ্গে এরাজ্যে বাকি থাকা দুই বিধানসভা কেন্দ্রেও ৩০ সেপ্টেম্বর নির্বাচন হবে। এদিন সামসেরগঞ্জে নির্বাচনী জনসভায় অভিষেক স্পষ্ট জানিয়ে দেন, বিজেপির সঙ্গে একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসই লড়াই করে জিততে পারে। তিনি বলেন, 'যেখানে যেখানে বিজেপি ক্ষমতায় আছে সেখানে যাব। আমরা সেখানে গিয়ে বিজেপিকে হারাব। কংগ্রেস নাকি বিজেপিকে হারাবে? কংগ্রেস নেতাদের মাটিতে দেখা যায়? কংগ্রেস লড়াই করে বিজেপির কাছে হারছে। কংগ্রেস দিয়ে হবে না। তৃণমূল বিজেপিকে হারাচ্ছে। পার্থক্য এটাই। এবার তো ভারতবর্ষ জুড়ে খেলা হবে।' অভিষেকের দাবি, 'গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ থেকেও মানুষ আসছে। বিজেপিকে উৎখাত করতে তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চায়।'
এদিকে এরাজ্যে বিধানসভার ফল প্রকাশের পর থেকেই বিজেপি থেকে তৃণমূলের দিকে পা বাড়িয়ে রয়েছে গেরুয়া শিবিরের সাংসদ, বিধায়ক ও নেতাদের একাংশ। ইতিমধ্যে কেউ কেউ তৃণমূলে যোগও দিয়েছেন। তৃণমূল নেতৃত্ব বারে বারেই বলে আসছে একাধিক বিজেপি বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে চাইছেন। এদিন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'তৃণমূলে ঢুকবে বলে বিজেপির বিধায়করা লাইন দিয়ে আছেন। তৃণমূলের দরজা খুলে দিলে এরাজ্য থেকে বিজেপি দলটাই উঠে যাবে। সাংসদ, বিধায়ক, নেতারা লাইন দিয়ে আছে। আমরা দরজা বন্ধ রেখেছি।'
আরও পড়ুন ‘B-তে ভবানীপুর, B-থেকেই ভারতবর্ষ’, এবার দেশজয়ের ইঙ্গিত দিলেন মমতা
একাধিকবার আবেদন জানিয়েও ত্রিপুরা সরকার পদযাত্রার অনুমতি দেয়নি অভিষেক বন্দ্যেপাধ্যায়কে। শেষমেশ পড়শি রাজ্যে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত করোনা পরিস্থিতিতে সভা, মিছিল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এতদ সত্বেও ত্রিপুরার দিকে যে তাঁদের নজর থাকবে তা এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। অভিষেক বলেন, 'ত্রিপুরায় যাতে পা না রাখতে পারি তার জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেছে বিপ্লব দেব সরকার। থরথর করে কাঁপছে। আমি ত্রিপুরা ঢুকবো। কতদিন ১৪৪ ধারা জারি রাখবে? ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেস জিতবে।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন