লালকেল্লা হিংসায় ধৃত অভিনেতা দীপ সিধুকে জামিন দিল দিল্লির এক আদালত। তাঁর গ্রেফতারিকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরতে চেয়েছিল দিল্লি পুলিশ।তদন্তকারী সংস্থাকে এমন কটাক্ষ করে সিধুর জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক নিলোফার আবিদা পারভীন।
তাঁর জামিনের শুনানিতে বিচারক বলেছেন, ‘ধৃত যেহেতু পাবলিক ফিগার, তাই তাঁকে গ্রেফতার করে একটা উদাহরণ খাড়া করতে চেয়েছে দিল্লি পুলিশ। কিন্তু আদতে এই গ্রেফতারিতে ন্যায়ের সঙ্গে আপস করা হয়েছে।‘ আদালতের মন্তব্য, ’২৬ জানুয়ারির হিংসায় অভিযুক্তের জড়িত থাকার কোনও তথ্য-প্রমাণ দাখিল করা হয়নি।‘
জানা গিয়েছে দুই জন গ্যারান্টার-সহ ব্যক্তিগত ৩০ হাজার টাকায় তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। এদিকে, দীপ সিধুকে নিয়ে নতুন নাটক। গ্রেফতার হওয়ার প্রায় ২ মাস পর শনিবার জামিন পেয়েছিলেন অভিনেতা। কিন্তু সেই জামিন মেলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভিন্ন একটি মামলায় ফের তাঁকে গ্রেফতার করা হল।
এদিকে, ২০২০ উত্তর-পূর্ব দিল্লির সংঘর্ষে অন্যতম অভিযুক্ত উমর খলিদকে সম্প্রতি জামিন দিল এক আদালত। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে দিল্লির খাজুরি খাস এলাকায় যে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ হয়েছিল, সেই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছিলেন খালিদ। জেএনইউ-র প্রাক্তন এই ছাত্রের বিরুদ্ধে হাজির করা প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানে অসঙ্গতি ধরা পড়ায় এই সিদ্ধান্ত। তবে তাঁর বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারা থাকায় এখনই জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন না খালিদ।
তাঁর আইনজীবী ত্রিদীপ পায়াস কোর্ট সওয়ালে বলেন, ‘তাঁর মক্কেলকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। বিরোধী কণ্ঠরোধ করতে এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা।‘
জামিন মঞ্জুর করে আদালত বলেছে, ‘শুনানিতে এটা নিশ্চিত হয়েছে সরকারপক্ষের প্রত্যক্ষদর্শী ওপর একটি ইউএপিএ মামলার প্রত্যক্ষদর্শী। যে মামলায় অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের দিকটা তদন্ত করে দেখছে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। সেই প্রত্যক্ষদর্শী ২১.০৫.২০২০-তে যে বয়ান দিয়েছেন সেখানে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একটা শব্দ খরচ করেনি। তারপর হঠাৎ করে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র মামলায় ২৭.০৯.২০২০-তে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। এই প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে সেই প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান খারিজ করা হল।‘