তৃতীয় ও চতুর্থ দফার প্রার্থিতালিকা রবিবারই প্রকাশ করেছে বিজেপি। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিজেপির প্রার্থী নিয়ে শুরু হয়েছে অসন্তোষ। পর্যবেক্ষকদের আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে সিঙ্গুরে। এই আবহে নিউটাউনের একটি হোটেলে সোমবার একপ্রস্থ বৈঠক সারেন অমিত শাহ। সেখানে রাজ্যের শীর্ষ নেতাদের পাশাপাশি বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতাদেরও উপস্থিতি ছিল। তবে কী বিষয়ে আলোচনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
অমিত রবিবারই খড়্গপুর সদরে বিজেপি প্রার্থী অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের হয়ে রোড শো করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। এর পর মেদিনীপুর জেলার নেতাদের নিয়ে দীর্ঘ বৈঠক করেন। সোমবার সকালে প্রথমে ঝাড়গ্রাম ও পরে বাঁকুড়ার রানিবাঁধে সমাবেশ অমিতের। এরপরে কলকাতা বিমানবন্দর হয়ে অসম যাওয়ার কথা তাঁর।
তবে বিজেপি সূত্রে খবর, সেই সূচি সম্ভবত বদলেছে। বিকেল সাড়ে ৪টের সময় গুয়াহাটির কর্মসূচি থাকলেও সেই সময় তিনি বাংলাতেই থাকবেন। সন্ধ্যায় রাজ্য বিজেপি-র কোর কমিটির সঙ্গে বৈঠক করে তবেই যাবেন। সেক্ষেত্রে হোটেলের পরিবর্তে কলকাতা বিমানবন্দরেও বৈঠক সারতে পারেন তিনি। এমনকি, তাঁর অসমের কর্মসূচি বাতিলও করা হতে পারে। অমিতের সঙ্গেই রয়েছেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ। তিনি একই হেলিকপ্টারে আসবেন কলকাতায়।
এদিকে, সশরীরে এদিন ঝাড়গ্রামে সভা করেননি অমিত শাহ। বদলে ভার্চুয়ালভাবেই হাজির সমর্থকদের সামনে বক্তব্য পেশ করেছেন তিনি। কপ্টার বিভ্রাটের জেরেই এদিন ঝাড়গ্রামে তিনি যেতে পারেননি বলে দাবি করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। যদিও তৃণমূলের দাবি, ঝাড়গ্রামের সভায় ভিড় না হওয়াতেই সশীরের উপস্থিত থেকে সভা বাতিল করেছে গেরুয়া শিবির।
আপাতত ভিড় নিয়ে শাসক-বিরোধী তরজা তুঙ্গে। যা অবশ্য আরও উস্কে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। গেরুয়া বাহিনীকে কোঁচা দিয়ে এদিন মমতা বলেন, ‘শুনলাম লোকের অভাবে ঝাড়গ্রামে একটা সভা বাতিল হয়েছে। আমাকে বলতে পারত। সভায় আমিই কিছু লোক পাঠিয়ে দিতাম।’
গত বুধবার নন্দীগ্রামে প্রচারে গিয়ে পায়ে আঘাত পান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু ভোটের আগে বাড়িতে বলে থাকতে নারাজ তিনি। তাই পায়ের প্লাসটার নিয়েই হুইলচেয়ারে প্রচার চালাচ্ছেন তিনি। এদিন পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডি, বলরামপুর, ঝাসদায় সভা করেন মমতা। সেই সব সভার ভিড় নিয়েও বিজেপিকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল নেত্রী। জনসমাগ মেপে দেখারও চ্যালেঞ্জ চুঁড়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এইসব সভা থেকে পদ্ম বাহিনীতে কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘আমি ভাঙব তবু মচকাব না। সেদিন ভাগ্য জোরে বেঁচে গিয়েছি। কিন্তু আমার কণ্ঠ এভাবে হামলা করে আটকানো যাবে না। আমি স্ট্রিট ফাইটার। একটা পায় নিয়েই লড়াই করে বিজেপিকে হারাবো।