মণীশ শুক্লা খুনে তৃণমূল যোগ! বিজেপি যুবনেতা হত্যাকাণ্ডে ধৃত মহম্মদ খুররমের ছবি দেখিয়ে দাবি বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের। মঙ্গলবার বঙ্গ বিজেপির সদর দফতরে সাংবাদিক সম্মেলন করে অর্জুনের দাবি, খুররমের সঙ্গে দীনেশ ত্রিবেদী, নির্মল ঘোষ, মদন মিত্র, ব্রাত্য বসুর মতো হেভিওয়েট নেতার সম্পর্ক রয়েছে। পানিহাটি ও টিটাগড় পুরসভার মুখ্য প্রশাসক নির্মল ঘোষ ও প্রশান্ত চৌধুরির খাস লোক ছিল খুররম, এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি অর্জুনের। মণীশ খুনের পিছনে দুই পুর প্রশাসকের হাত রয়েছে বলে অনুমান বারাকপুরের সাংসদের। একইসঙ্গে এদিন তিনি দাবি করেছেন, ভবানীভবন (সিআইডির সদর দফতর) থেকে রবিবার রাতে তাঁর এবং মণীশের মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করা হচ্ছিল। পুলিশেরও যোগসাজশ রয়েছে এই হত্যাকাণ্ডে, এমনটাই অভিযোগ করলেন অর্জুন সিং।
প্রসঙ্গত, সোমবারই মহম্মদ খুররম-সহ দুজনকে খুনের ঘটনা জড়িতে সন্দেহে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। মঙ্গলবার বারাকপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে ধৃতদের ১৪ দিনের সিআইডি হেফাজতে পাঠানো হয়। ধৃতদের জেরা করে সিসিটিভি ফুটেজের সেই আততায়ীর খোঁজ চালাবেন গোয়েন্দারা। তবে প্রাথমিক তদন্তে ব্যক্তিগত শত্রুতার তত্ত্বকেই তুলে ধরছেন। এই খুনের ঘটনায় রাজনৈতিক কারণ এখনও স্বীকার করেনি পুলিশ। এদিকে, তৃণমূলের বিরুদ্ধেই খুনের চক্রান্তের অভিযোগে সরব বিজেপি নেতা অর্জুন সিং। এদিন খুররমের সঙ্গে একাধিক হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার ছবি দেখিয়ে সেই দাবি জোরালো করেছেন অর্জুন। এমনকী, খুনের ঘটনায় নাইন এম এম কার্বাইন বা আরও উন্নত অস্ত্রের ব্যবহার হয়েছে বলে দাবি তাঁর। এ কে ৪৭ বা ৫৬-ও ব্যবহার করা হতে পারে বলে তাঁর ধারণা। কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, ৭ এমএম পিস্তলের ব্যবহারের দাবি নস্যাৎ করেছেন অর্জুন।
আরও পড়ুন শবদেহ নিয়ে রাজপথে আন্দোলনে বিজেপি, প্রকট মুকুল-দিলীপ দূরত্ব!
এদিন অর্জুন জানিয়েছেন, সিবিআই তদন্তের দাবিতে তাঁরা আগামিকাল কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করবেন। প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টেও যাবেন তাঁরা। এদিকে, অর্জুনের দাবিকে অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতা নির্মল ঘোষ। স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। কারও সঙ্গে ছবি থাকলেই কোনও কিছু প্রমাণ করা যায় না। দলীয় কর্মসূচির জেরে অনেকের সঙ্গেই এমন ছবি রয়েছে তাঁর, জানিয়েছেন নির্মল ঘোষ।
আরও পড়ুন বিজেপি কার্যালয়ের পাশেই লুকিয়ে ছিল মণীশ শুক্লার খুনি!
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন