টালিগঞ্জে তৃণমূল প্রার্থী অরূপ বিশ্বাসের কাছে ৫০ হাজারের বেশি ভোটে হেরেছেন বাবুল সুপ্রিয়। মমতা মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্যকে হারাতে এই কেন্দ্রে স্নেহের বাবুলের ওপরেই ভরসা রেখেছিলেন মোদী-শাহ। কিন্তু পরপর আসানসোল থেকে লোকসভায় জিতলেও, বঙ্গ বিধানসভায় এখনই প্রবেশে ছাড়পত্র পেলেন না এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কিন্তু তাতেও দমতে নারাজ টালিগঞ্জে বিজেপি প্রার্থী সুপ্রিয় বড়াল ওরফে বাবুল সুপ্রিয়।
Advertisment
এদিন তিনি ভোটের ফল প্রায় চূড়ান্ত হয়ে যাওয়ার পর ট্যুইট করেন। এবং বঙ্গ ভোটের ফলাফল আদতে ‘বাংলার মানুষের ভুল দল নির্বাচন’ বলেই খানিকটা তোপ দাগেন বাবুল। তিনি লেখেন, ‘আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিনন্দন জানাব না কিংবা বলব না মানুষের রায় মাথা পেতে নিলাম। কারণ আমি মনে করি বাংলার মানুষ ঐতিহাসিক ভুল করেছে বিজেপিকে সরকার গড়ার সুযোগ না দিয়ে। বরং দুর্নীতিপরায়ণ অসৎ একটা সরকার নির্বাচন করেছে। নির্মম এক মহিলাকে ক্ষমতায় ফিরিয়েছে।‘
দেখুন সেই ট্যুইট:
তাঁর সংযোজন, ‘একজন আইন অনুসরণকারী নাগরিক হিসেবে একটা গণতান্ত্রিক দেশের মানুষের রায়কে শুধু মেনে চলবো।‘ এদিকে, তখনও টালিগঞ্জ কেন্দ্রে জয়ী প্রার্থীর নাম ঘোষণা হয়নি। ফলাফলের ট্রেন্ডে সেই কেন্দ্রে প্রায় ৪৫ হাজার ভোটে এগিয়ে ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী অরূপ বিশ্বাস। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিজেপির বাবুল সুপ্রিয়। তাই শুরুর দিন থেকে লড়াইটা হাড্ডাহাড্ডি ছিল এটা বুঝে ছিলেন মমতা ক্যাবিনেটের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য অরূপ বিশ্বাস। ফলে জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় বিজেপি প্রার্থীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন অরূপ বিশ্বাস।
তাঁর মন্তব্য, ‘বাবুল দাবি করেছিল ৪০ হাজার ভোটে জিতবে, কিন্তু হেরেছে ৪৫ হাজারে। সবসময় মিথ্যা বলে জেতা যায় না। ও আগে পুরভোটে আবার আসুক আমার সঙ্গে জিতে দেখাক। পুরো বাংলা থেকে হটে গিয়েছে বিজেপি।‘ যদিও শেষ পাওয়ায় খবর পর্যন্ত টালিগঞ্জে ৫০ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন অরূপ বিশ্বাস।