নামেই তাঁরা দলে রয়েছেন। কিন্তু দলের কোনও কর্মসূচিতে প্রকাশ্যে তাঁদের দেখা যায় না। দলের শীর্ষ নেতারা তাঁদের বাড়িতে যান। মানভঞ্জনের চেষ্টা করেন। কিন্তু তবুও তাঁদের গোঁসা যায় না। কথা হচ্ছে, শোভন চট্টোপাধ্যায়-বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রবিবার বিকেলে বঙ্গ বিজেপির বিজয়া সম্মিলনী। কিন্তু তাতে থাকছেন না শোভন-বৈশাখী জুটি। কারণ, আর কিছুই নয়। বিজয়া সম্মিলনীতে শোভন আমন্ত্রণ পেলেও, বৈশাখী নাকি পাননি। তাই দলীয় অনুষ্ঠানে থাকছেন না তাঁরা। এমনটাই সূত্রের খবর। শোভন চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, রবিবার সল্টলেকের ইজেডসিসি-তে বিজেপির বিজয়া সম্মিলনীতে হাজির থাকার জন্য বৈশাখীর মোবাইল ফোনে ফোন করে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু বৈশাখীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
সম্প্রতি, বঙ্গ বিজেপিতে রাজ্য কমিটিতে ঢুকেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু তাও কোনও দলীয় অনুষ্ঠান, কর্মসূচি, মিটিং-মিছিলে দেখা যায় না তাঁদের। কয়েকদিন রাজ্য সফরে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এসে গভীর রাতে নিউটাউনের হোটেলে শোভন-বৈশাখীকে তলব করে বৈঠকও করেন। তখন ফেসবুকে পোস্ট করে এই বৈঠককে বঙ্গ রাজনীতি নয়া অধ্যায়ের সূচনা বলে ব্যক্ত করেন বৈশাখী।
দিন দুয়েক আগে বঙ্গ বিজেপির সহ-পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন এবং সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী বৈঠক করেন শোভন-বৈশাখীর সঙ্গে। কিন্তু তারপরেও দলের বিজয়া সম্মিলনীতে নাকি শোভন আমন্ত্রণ পেলেও, আমন্ত্রণ পাননি বৈশাখী। এমনটাই সূত্রের খবর। বিজেপির বিজয়া সম্মিলনীতে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ বিতর্কে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, ‘বিজয়া সম্মিলনীতে সকলকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। হয়তো কেউ ফোন ধরেননি।’
সেই গত বছর আগস্ট মাসে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা বিধায়ক শোভন এবং তাঁর বান্ধবী বৈশাখী। কিন্তু না কোনও দলীয় কর্মসূচিতে না কোনও মিটি-মিছিলে অংশ নিতে দেখা গিয়েছে দুজনকে। গেরুয়া শিবিরে যেখানে তৃণমূল থেকে আসা অন্য নেতা-নেত্রীরা চুটিয়ে রাজনীতি করছেন সেখানে নিষ্ক্রিয় হয়ে রয়েছেন দুজন। সদ্য রাজ্য কমিটিতে সদস্য পদ দেওয়া হয়েছে শোভন-বৈশাখীকে। কিন্তু তবুও গোলপার্কের ফ্ল্যাটেই নিজেকে আবদ্ধ রেখেছেন শোভন।
সম্প্রতি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফ থেকে দুর্গাপুজোর উপহার পেয়েছেন দুজনে। সেকথা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতেই শোভন-বৈশাখীর তৃণমূলে ফেরা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়। সম্প্রতি, ইজেডসিসিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভার্চুয়াল পুজো উদ্বোধনেও আমন্ত্রিত ছিলেন তাঁরা। কিন্তু সেখানেও দুজনের অনুপস্থিতি নজরে পড়েছে রাজনৈতিক মহলের।